ইউটিউব দেখে জ্বালানি তৈরি করলেন কলেজছাত্র

জ্বালানি তৈরী
জ্বালানি তৈরী  © ফাইল ছবি

ইউটিউব দেখে পরিত্যক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য পুড়িয়ে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল উৎপাদন করার দাবি করছেন পারভেজ মোশাররফ নামের এক কলেজ ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায়। 

পারভেজ মোশারফ উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের মইদাম গ্রামের কৃষক বদিউজ্জামানের ছেলে এবং মইদাম মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। 

পারভেজ জানান, আড়াই বছর আগে ইউটিউবে তৌহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির জ্বালানি তৈরির একটি ভিডিও দেখে গবেষণা করে পরিত্যক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক বোতল পুড়িয়ে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল তৈরির চেষ্টা করেন তিনি। সেসময় প্রায় ১২০ লিটার জ্বালানি তেল সংগ্রহ করেন বলেন জানান তিনি। পরে সারাদেশে করোনা ভাইরাসের মহামারি শুরু হলে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, পরে কয়েকজন বন্ধুর উৎসাহ ও সহযোগিতায় গত ১৯ আগস্ট থেকে পুনরায় জ্বালানি উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। 

এসব জ্বালানি দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়েছেন তিনি। তিনি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার সুযোগ না পেলেও প্রাথমিকভাবে মাটি ও পানিতে ওই তরল পদার্থ ফেলে আগুনে প্রজ্বলিত করে পেট্রোল কিনা সেটাও প্রমাণ করেছেন।

আরও পড়ুন: দুই ভাইয়ের কাঠ দিয়ে তৈরি জিপ চলবে সৌরবিদ্যুতে।

পারভেজ জানান, পরিত্যক্ত পলিথিন সংগ্রহ করে একটি আবদ্ধ ড্রামের ভেতরে রেখে আগুন দিয়ে অতিমাত্রায় তাপ প্রয়োগ করে গলিয়ে ফেলা হয়। বাষ্পায়িত হয়ে ডিজেল এবং নল দিয়ে বের হয়ে পেট্রোল-অকটেন তৈরি হয়। যত তাপমাত্রা বেশি দেওয়া হতো ততো বেশি তরল পদার্থ নির্গত হয়। এসব সংগ্রহীত তরল পদার্থ ছাকনি দিয়ে পরিশোধন করা হয়।

পারভেজের দাবি, এই তরল পদার্থগুলো হাইড্রোকার্বন। তাই এগুলো ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন ও এলপি গ্যাস। ১০ কেজি পলিথিন থেকে প্রায় ৭ লিটার জ্বালানি পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি। প্রতি লিটার জ্বালানি ১০০ টাকায় বিক্রি করা যায়। 

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাইফুর রহমান সরকার বলেন, পলিথিন বা প্লাস্টিক বর্জ্য হতে জ্বালানি পদার্থ যথা ডিজেল, পেট্রল বা অকটেন উৎপাদনে পারভেজের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। এ ধরনের উৎপাদন বাণিজ্যিকভাবে করা গেলে তা পরিবেশ দূষণ কমাতে সহায়ক হবে।


সর্বশেষ সংবাদ