এই প্রথম সফটওয়ারে চলল স্পর্ট গাড়ি, তাক লাগালেন সানজিদ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০১৯, ১২:১১ AM , আপডেট: ১১ আগস্ট ২০১৯, ০৮:৫৪ AM
জার্মান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’র কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র মো. সানজিদ খান (২৩)। তিনি তৈরি করেছেন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন স্পর্ট গাড়ি। তার নিজের হাতে উদ্ভাবিত এই স্পর্ট গাড়ি চালক ছাড়াই চলবে মোবাইলের একটি সফটওয়ারের মাধ্যমে। কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং সরকারীভাবে পৃষ্টপোষকতা পেলে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি সকল ধরনের বড় গাড়িও তৈরি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাইমহাটি প্রফেসরপাড়া গ্রামে সানজিদ খানের বাড়ি। শনিবার সানজিদ খান তার নিজের তৈরি স্পট গাড়ি চালক ছাড়াই কিভাবে মোবাইলের সফটওয়ার ব্যবহার করে চালানো যায় তা দেখিয়েছেন।
সানজিদ খান জানায়, তিনি ঢাকায় জার্মান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষে পড়ছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি দীর্ঘ দিন ধরে এমন একটি গাড়ি তৈরি জন্য চেষ্টা করে আসছেন। এছাড়া অবসরে করছেন লেখালেখি। তার দুটি বইও প্রকাশিত হয়েছে। অবশেষে কঠোর পরিশ্রমে তার দীর্ঘ দিনের চেষ্টা সফল হয়েছে।
সানজিদের এই স্পর্ট গাড়ি তৈরির জন্য মাইক্রো-কন্ট্রোলার, ব্লু-টোথ মডিউল, স্টিপার মোটর বোর্ড, চাকা, মর্টার, ৪২ এ্যাম্পিয়ারের তিনটি ব্যাটারি এবং মাইক্রো কন্ট্রোলারের জন্য ৯ ভোল্ট ব্যাটারিসহ আরও কিছু যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। স্পর্ট গাড়িটি পিছনে ও সামনে দুই ভাবেই চলানো যায়। এর সুবিধা হচ্ছে— এটি ডোন ক্যামেরার মত কাজ করবে এবং শুর্টিং কাজে বেশি ব্যবহার করা যাবে। প্রাথমিকভাবে স্পর্ট গাড়িটি তৈরি করতে তার খরচ হয়েছে ৪ হাজার টাকা। বাণিজ্যিকভাবে এটি তৈরির খরচ পড়বে ১৫শ থেকে দুই হাজার টাকা। আবার বড় স্পর্ট গাড়ি তৈরি করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হবে।
স্পর্ট গাড়ি সম্পর্কে সানজিদ খান বলেন, আরডিনিও ব্লু-টোথ কন্ট্রোলার ব্যবহার করে স্পর্ট গাড়ি চালানো যায়। মোবাইলের সফটওয়ার গুগল প্লে-স্টোর থেকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই সফটওয়ার পাওয়া যায়।স্পর্ট গাড়িটি তৈরি ও বাজারজাত করতে তিনি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সরকারের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার পড়াশোনার পাশাপাশি সানজিদ খান ভাল লেখালেখির সঙ্গেও জড়িত। তিনি জীবনের গীতালি-১ ও জীবনের গীতালি-২ নামে দুইটি উপন্যাস লিখেছেন। যা ইতিমধ্যে অমর একুশে বই মেলায় বিক্রি হয়েছে।