জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ইসির ২২ দফা কর্মপরিকল্পনা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪২ PM , আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৯ PM

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২২টি কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে কয়েকটি ছাড়া বাকি সব কার্যক্রম আগামী অক্টোবরের মধ্যেই সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার (৭ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, আইনি ও বিধিমালার সংস্কার, ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপনসহ ২২টি বিষয়ে কাজ শুরু করেছে ইসি। এগুলোর বেশিরভাগই অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে।
ইসির কর্মপরিকল্পনায় যেসব বিষয় রয়েছে:
অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, নির্বাচনী আইনের সংস্কার, বিধিমালা ও নীতিমালা সংশোধন, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ভোট কেন্দ্র স্থাপন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিক নীতিমালা প্রণয়নসহ পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন, বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমতি সংক্রান্ত কার্যক্রম, নির্বাচনী দ্রব্যাদি সংগ্রহ, বিভিন্ন প্রকার ম্যানুয়াল নির্দেশিকা পোস্টার পরিচয় পত্র ইত্যাদি মুদ্রণ, স্বচ্ছ ব্যালট বক্স ও নির্বাচনী দ্রব্যাদি ব্যবহার উপযোগীকরণ, নির্বাচনী বাজেট প্রস্তুত বাজেট বরাদ্দ সংক্রান্ত কার্যক্রম ফলাফল প্রদর্শন প্রচার ও প্রকাশ বিষয়ক ব্যবস্থা গ্রহণ, ডিজিটাল মনিটর স্থাপন ও যন্ত্রপাতি সংযোজন, আন্তঃমন্ত্রণালয় যোগাযোগ ও সভা বিষয়ক কার্যক্রম, নির্বাচনের জন্য জনবল ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ ও ব্রিফিং, প্রচার ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম, রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে প্রচারণা, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সুসংহতকরণ, বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল প্রচার সংক্রান্ত কার্যাবলী, আইসিটি সহায়তা সংক্রান্ত কার্যক্রম এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা।
এর আগে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ডিসেম্বরকে সামনে রেখে সব প্রস্তুতি এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন বাস্তবতার ভিত্তিতে কাজ করছে।
ইসি আরও জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো নিজস্ব অবস্থান থেকে মন্তব্য করলেও কমিশন নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। ডিসেম্বরের নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সময় বিবেচনায় নিয়েই তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং কোনো দলের সুবিধা-অসুবিধার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।