যে অভিযোগে আটক শাবিপ্রবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থী

শাবিপ্রবিতে ভিসি বিরোধী আন্দোলন
শাবিপ্রবিতে ভিসি বিরোধী আন্দোলন  © সংগৃহীত ছবি

আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল ও আইনসংগত কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক ৫ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখ।

আজবাহার আলী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষায়িত শাখা সবাইকে ঢাকা থেকে আটক করেছে। পরে ঢাকা থেকে বিকেলে সিলেটে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা তাদের সিলেটে জালালাবাদ থানায় বুঝে পেয়েছি।

আরও পড়ুন: ভিসির পদত্যাগে লাভবান শিক্ষকরা, শিক্ষার্থীরা নয় 

তারা সবাই শাবিপ্রবির প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাদের বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার কারণে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় অপরাধ করার কারণেই তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার নিশারুল আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিকভাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ যোগান দিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব অর্থ যোগান তারা কিসের ভিত্তিতে দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে জোর করে টিসি দেওয়া যাবে না: শিক্ষাবোর্ড

আটককৃত সাবেক শিক্ষার্থীরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর মতিয়ার রহমান খানের ছেলে হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার মুইন উদ্দিনের ছেলে রেজা নুর মুইন (৩১), খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার মিজানুর রহমানের ছেলে এ এফ এম নাজমুল সাকিব (৩২), ঢাকার মিরপুরের একেএম মোশাররফ হোসেনের ছেলে মারুফ হোসেন (২৭) ও কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার সাদিকুল ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২৭)।

উল্লেখ, ১৩ জানুয়ারি রাত থেকে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট বডির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ছাত্রীরা। এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ছাত্ররাও অংশ নেয়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। তখন ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। পরের দিন ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আইসিটি ভবনে গেলে তাকে সেখানে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পুলিশ গিয়ে অবরুদ্ধ ভিসিকে উদ্ধার করে। এসময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেণেড নিক্ষেপ করে। এতে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনার পর ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। আমরণ অনশনে বসেন ২৩ শিক্ষার্থী। পরে তাদের সাথে আরও ৫ শিক্ষার্থী যোগ দেন।

 


সর্বশেষ সংবাদ