এবার টাকার ব্যাগ আর পিস্তল রেখে বানালেন শাবিপ্রবি ভিসির কুশপুত্তলিকা

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কুশপুত্তলিকা
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কুশপুত্তলিকা  © সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে এই বিক্ষোভ শুধু শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে সীমাবদ্ধ নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন শিক্ষার্থী। এসব কর্মসূচিতে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ চেয়ে কুশপুত্তলিকা স্থাপন, দেয়াল লিখন, কুশপুত্তলিকা দাহ এবং ব্যঙ্গচিত্রও আঁকা হয়।

শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে চলমান আন্দোলনের মধ্যে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের একটি কুশপুত্তলিকা তৈরি করেছেন শিক্ষার্থীরা। বাঁশ ও পাটের বস্তা দিয়ে বানানো কুশপুত্তলিকাটি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে রাখা হয়েছে। মাথার অংশে রয়েছে উপাচার্যের ছবি। কুশপুত্তলিকার এক হাতে প্রতীকী টাকার ব্যাগ এবং অন্য হাতে আছে প্রতীকী পিস্তল।

আরও পড়ুন: পদত্যাগ চেয়ে ঢাবির ঘৃণা স্তম্ভে অধ্যাপক ফরিদের কুশপুত্তলিকা

গতকাল মঙ্গলবার রাতে শিক্ষার্থীরা কুশপুত্তলিকাটি তৈরি করেছেন। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত উপাচার্যের বাসার সামনে অবস্থান করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুর থেকে আবার তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হতে শুরু করেছেন।

আরও পড়ুন: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: ভিসি পদ ফাঁকা আছে

এর আগে গত সোমবার থেকে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যকে পদত্যাগের জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা। এর মধ্যে পদত্যাগ না করলে তাঁরা আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলনের শুরু যেভাবে, যে কারণে

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার শাবিপ্রবির সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমদ লিজার অসদাচরণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। পরদিন শুক্রবার থেকে ছাত্রীরা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ তিন দফা আন্দোলন শুরু করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রথম দিকে তা গুরুত্ব দেয়নি। এ নিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েও কাজ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যকে মুক্ত করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে আরও বড় অসন্তোষের জন্ম দেয়। পরবর্তীতে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অপসারণের দাবি ওঠে।

এই ঘটনার পর ক্যাম্পাসে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হলে ওইদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। গত সোমবার দুপুরের মধ্যে সবাইকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও কার্যত তা মানেননি শিক্ষার্থীরা। উল্টো তা উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়।


সর্বশেষ সংবাদ