মামলা প্রত্যাহারে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৪১ PM , আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১০:০০ PM
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় জালালাবাদ থানায় পুলিশের দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার রাত ১০টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দেন এবং প্রত্যাহার না করলে কঠোর আন্দোলন হবে বলে জানান তারা।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা এ আল্টিমেটাম দেন। এসময় তারা আরো বলেন, রাত ১০টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না হলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো। তবে, উপাচার্য পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আমাদের অবস্থান অনড় রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
গতকাল সোমবার রাতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু খালেদ মামুন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে শাবি ক্যাম্পাসে এসে আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে শিক্ষামন্ত্রীর বরাত দিয়ে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল আরও বলেন, আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বহন করবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: তসলিমা নাসরিকে মৃত ঘোষণা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের
উল্লেখ্য, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগসহ তিনদফা দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন করছেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই হলের ছাত্রীরা। আন্দোলন চলাকালে শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
হামলার প্রতিবাদ এবং তিন দফা দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তাঁরা। অবরুদ্ধ উপাচার্যকে মুক্ত করতে গিয়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বলা হলেও তারা তা প্রত্যাখান করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।