ইএফটিতে বেতন: ভুল না থাকা প্রার্থীদের করণীয় কী?
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৭ AM , আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩১ AM

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা দিচ্ছে সরকার। তবে অনেকেই এখনো বেতন পান নি। বেতন না পাওয়া প্রার্থীদের দাবি, কোনো ভুল না থাকলেও তারা বেতন পাননি। এ অবস্থায় তাদের করণীয় কী?
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বলছে, পাঁচ ধাপে ৩ লাখ ৫৭ হাজারের বেশি শিক্ষক-কর্মচারীকে বেতনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ছোট এবং মাঝারি ভুল থাকলেও বেতন ছাড় করা হয়েছে। তবে যাদের বড় ধরনের ভুল রয়েছে, তারা তথ্য সংশোধন না করা পর্যন্ত বেতন-ভাতা পাবেন না।
আরও পড়ুন: ইএফটিতে ৫ম ধাপের বেতন নিয়ে যা জানাল মাউশি
এ বিষয়ে মাউশির এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘তথ্য গত ভুলের বাইরে আরও কিছু ভুল রয়েছে। যেমন ধরুন একই ইনডেক্স নম্বর দুই জনের রয়েছে; আবার অনেকে আগের প্রতিষ্ঠানের ইনডেক্স ডিলেট করেননি। এ ধরনের ব্যক্তিদের বেতন দেওয়া বন্ধ রয়েছে। এছাড়া অনেকের বড় ধরনের (জন্ম তারিখ, নাম) ভুল রয়েছে। এই ভুল সংশোধন না করা পর্যন্ত তারা বেতন পাবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ ৫ম ধাপের বেতন প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য ড্যাশবোর্ড উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তখন তারা লগ-ইন করে কোন সমস্যার কারণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন পাননি সেটি দেখতে পারবেন। এরপর প্রয়োজনীয় সংশোধন সাপেক্ষে বেতন ছাড় করা হবে।’
আরও পড়ুন: ইএফটিতে জানুয়ারি মাসের বেতন কবে—জানাল মাউশি
জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়। এই অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো।
ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বেতন-ভাতা ছাড়ের জন্য কয়েক পর্যায়ে অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অনেক ক্ষেত্রেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পেতে দেরি হয়। অনেক সময় পরের মাসের ১০ তারিখের পরও আগের মাসের বেতন-ভাতা জোটে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য যাচাই শুরু করা হয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরবর্তী সময়ে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার, তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ৮ হাজার ২০০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। ৫ম ধাপে ৮ হাজার ৮৮৭ শিক্ষক-কর্মচারীকে বেতন দেওয়া হবে। অবশিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।