‘সন্দেহজনক আউট’ বিতর্কে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন ২ ক্রিকেটার

মিনহাজুল আবেদিন সাব্বিরের সন্দেহজনক আউট
মিনহাজুল আবেদিন সাব্বিরের সন্দেহজনক আউট   © সংগৃহীত

ফিল্ডিংয়ের সময় আম্পায়ার শরফউদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকতের সঙ্গে মেজাজ হারানো ও ম্যাচ শেষে নেতিবাচক মন্তব্যের জেরে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন মোহামেডান অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) নিষেধাজ্ঞা পেতে যাচ্ছেন আরও দুই ক্রিকেটার।

মূলত স্বেচ্ছায় আউটের ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হওয়ার পরই শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের দুই ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির ও রহিম আহমেদের নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিত হয়ে গেছে। যদিও বিসিবি দুর্নীতি দমন বিভাগের (এসিইউ) তদন্তে দোষ স্বীকার করেননি তারা, এরপরও তাদের শাস্তি অবধারিত বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।

আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের নীতিমালা অনুযায়ী, সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পেতে পারেন তারা। আর ভুল স্বীকার করলে শাস্তি এক বছরে নেমে আসতে পারতো।

সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে পয়েন্ট ছেড়ে দিতে স্বেচ্ছায় ম্যাচ হারের অভিযোগ উঠেছে। নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত করতে লোয়ার-অর্ডারে মিনহাজুল ও রহিম ইচ্ছাকৃতভাবে আউট হন। এক্ষেত্রে মিনহাজুলের স্টাম্পড আউটটি চাক্ষুস প্রমাণ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে গত ৯ এপ্রিল দশম রাউন্ডে বিতর্কিত এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। ফিক্সিং সন্দেহে পরদিনই তদন্তে নামেন এসিইউ কর্মকর্তারা। রোববার (১৩ এপ্রিল) দ্বিতীয় দফায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিসিবি কার্যালয়ে মিনহাজুল-রহিমের সঙ্গে গুলশান ক্লাবের উইকেটরক্ষক আলিফ হাসান ইমনকেও ডাকা হয়েছিল।

মিনহাজুলকে দ্বিতীয় সুযোগে স্টাম্পিং করেন তিনি। প্রথম চেষ্টায় বেলসে বল লাগাতে না পারায় ক্রিজের বাইরে অপেক্ষা করেন মিনহাজুল। ফলে, সময় নিয়ে আউট করার সুযোগ পান ইমন। এ প্রসঙ্গে এসিইউর এক কর্মকর্তা জানান, ভিডিও দেখিয়ে সত্য বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ওই কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, ‘ফিক্সিংয়ের কুশীলবদের নাম প্রকাশ করছে না ছেলেগুলো। যদিও তাদের বলা হয়েছে, শাস্তি অবধারিত। দোষ স্বীকার করলে সেটা কমবে, না করলে বাড়বে। এরপরও তারা মুখ খুলছে না।’

এ ঘটনায় গুলশান ক্লাবের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের দিকেও সন্দেহের তীর। তার হাতে উভয় ক্লাবের কর্তৃত্ব থাকায় এই প্রশ্ন উঠছে। এক্ষেত্রে এসিইউ কর্মকর্তাদের সুপারিশে ক্লাবটিকেও নিষিদ্ধ করার কথা বলা হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে বিসিবির এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলছিলেন, ‘ছেলেগুলোর ক্যারিয়ার নষ্ট হবে। অথচ পুরো প্রক্রিয়ায় জড়িত টিম ম্যানেজমেন্ট। তাদের শাস্তি দেওয়া না গেলে কোনো পরিবর্তন হবে না।’


সর্বশেষ সংবাদ