ঢাবির এমআইএস বিভাগ
অ্যাপই হবে ক্লাসরুম, থাকবে নানান ফিচার
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২১ জুন ২০২০, ০৯:২৬ PM , আপডেট: ২১ জুন ২০২০, ১১:৪০ PM
করোনা-কালে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ এই মহামারি শেষ হবে তা সঠিক বলা যাচ্ছেনা। এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন পাঠদানের প্রতি জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি মাথায় রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগে চালু হতে যাচ্ছে মোবাইল ও ওয়েবভিত্তিক অ্যাপ।
এই অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই ক্লাস করতে পারবে। তাছাড়া থাকবে নানান সুবিধা এবং ফিচার। একইসঙ্গে এই অ্যাপ চালু হলে বিভাগটির একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমও পেপারলেস হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অর্থায়ন ও সহযোগিতায় নির্মিতব্য এই অ্যাপটি আগামী জুলাই মাসে আসবে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এই অ্যাপটি দিয়ে অনলাইনে পাঠদান, পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম এবং বিভাগীয় সেবা প্রদান ত্বরান্বিতকরণসহ নানা ধরণের কাজ করা যাবে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, এমনকি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের জন্য এই অ্যাপে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন ফিচার।
অ্যাপের কার্যপ্রক্রিয়া সম্পর্কে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রাকিবুল হাসান বলেন, আমাদের বিভাগে নিজস্ব শক্তিশালী সার্ভার রয়েছে। আর অ্যাপটির ব্যাকগ্রাউন্ডে রয়েছে সুসংগঠিত ডাটাবেইস সিস্টেম। এই দুইয়ের সমন্বয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের একটি পেপারলেস একাডেমিক সিস্টেম উপহার দেয়ার আশা করছি।
কবে থেকে অ্যাপটি পূর্ণাঙ্গরূপে পাওয়া যাবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে এটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। সম্পূর্ণ কাজ শেষে পুরোপুরি ব্যবহারের জন্য জুলাই মাসেই অ্যাপটি প্রস্তুত হবে।
অ্যাপের শিক্ষার্থীবান্ধব দিকটি তুলে ধরে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমকে হাতের মুঠোয় এনে দিতে যাচ্ছে এই অ্যাপ। পাশাপাশি পরীক্ষার ফলাফল জানতে আর নোটিস বোর্ডের সামনে ভিড় করা লাগবেনা, এই অ্যাপেই দেখা যাবে। এছাড়া এই অ্যাপে একটি প্রেডিকটিভ অ্যানালাইসিস টুল থাকবে, যা দিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের ফলাফলের ট্রেন্ড পর্যালোচনা করে তাদের সামগ্রিক মানোন্নয়নের সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে পারবো।
তিনি বলেন, করোনা-কালে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের কোন বিকল্প নেই। যদি কার্যক্রমটি নিজেদের বিভাগীয় অ্যাপের মাধ্যমে যদি করা যায়, বিভাগের চেয়ারম্যান হিসাবে তা আমার জন্য খুবই তৃপ্তিদায়ক। বিভাগীয় কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ সুশৃঙ্খল এবং পেপারলেস করার মাধ্যমে আমরা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগকে ধন্যবাদ আমাদের স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকার জন্য।
শিক্ষাঙ্গন এবং সরকারের এ রকম যৌথ উদ্যোগ আরও বেশি করে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার সমৃদ্ধির পথে তার জয়যাত্রা অব্যাহত রাখবে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করবে বলে মনে করেন অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেন।