গৃহবধূকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:৩৬ PM , আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:৪৫ PM
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় এক গৃহবধূকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক উপজেলার পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নুর আলম মাতব্বর।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) ওই গৃহবধূর স্বামী আমিনুল ইসলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাউশি ও জেলা প্রশাসক সহ ১১টি দপ্তরে লিখিত এ অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন:দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগের দাবিতে সরব শিক্ষার্থীরা, যা ভাবছে কর্তৃপক্ষ
আমিনুল ইসলামের অভিযোগ, ওই সহকারী প্রধান শিক্ষক ও তার পরিবার রাজৈরে একটি বাসার একই ফ্লাটে পাশাপাশি ভাড়া থাকতেন। আমিনুল ইসলাম চাকরির কারণে পরিবার থেকে দূরে থাকায় তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক বিভিন্ন প্রলোভন ও স্কুলের নবম শ্রেণিতে ভর্তি করার কথা বলে প্রাইভেট পড়াতে শুরু করেন। প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে শিক্ষক নুর আলম তার স্ত্রীকে অনৈতিক কার্যকলাপ করার প্রস্তাব দেয়। এতে আমিনুল ইসলামের স্ত্রী ওই শিক্ষকের আচরণে বাধা দিলে নুর আলম বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায়ে তার স্ত্রীকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি করে। প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে নিয়মিত মোবাইলে সেলফি তোলা, রাতে অহেতুক মানসিক যন্ত্রণা, জোরপূর্বক শারীরিকভাবে একাধিকবার অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করেন।
স্থানী সূত্রে জানা যায়, একটি বালিকা বিদ্যালয়ের মতো সংবেদনশীল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নারীঘটিত কেলেংকারিতে জড়িয়ে পড়ার মতো ঘটনা ঘটালে ছাত্রীদের মনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
এ বিষয় অভিযুক্ত শিক্ষক নুর আলম মাতব্বর বলেন, বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে মীমাংসার কথা চলছে।
আমিনুল ইসলাম আরো বলেন, আমি এ বিষয় নুর আলমকে জিজ্ঞাসা করলে সে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি বাধ্য হয়ে বাসা পরিবর্তন করে থানার মোড়ে বাসা ভাড়া নিয়ে চলে যাই। সেখানেও সে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। পরে আমি আমার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি শাখারপাড় চলে যাই । আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করি।
আরও পড়ুন:জিপিএ-৫ এর তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা অর্ধেকেরও কম
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিন্দ্র নাথ বাড়ৈ বলেন, আমি এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মহোদয়েও রেজিস্টারি ডাকে অভিযোগপত্রটি হাতে পেয়েছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুল হক বলেন, জেলা প্রশাসক বরাবরে লেখা অভিযোগপত্র হাতে পেয়েছি। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।