স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি, খেটেছেন জেলও — পেলেন নৌকার মনোনয়ন

অভিযুক্ত মীর লিয়াকত আলী
অভিযুক্ত মীর লিয়াকত আলী  © ফাইল ছবি

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কোলা ইউনিয়নে ধর্ষণ মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মীর লিয়াকত আলী। তিনি ওই মামলায় জেলও খেটেছেন। তবে বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন না কারাগারে রয়েছেন বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে এলাকায় সমালোচনা চলছে।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করেন। এরমধ্যে কোলা ইউনিয়নের মীর লিয়াকতসহ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ও লৌহজংয়ে ২৩ ইউনিয়নে মনোনীত প্রার্থীদের নামও রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালে কোলা ইউপি চেয়ারম্যান মীর লিয়াকত আলীর খাসকামরায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ইউনিয়ন পরিষদের হোল্ডিং প্লট বিতরণকারী সাজিদ (২৫) ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মীর লিয়াকত আলী, সাজিদসহ তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত মুন্সিগঞ্জে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলা নম্বর-১০/২০১৯।

মুন্সিগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার আবুল বাশার বলেছেন, ধর্ষণ মামলায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বেশ কিছুদিন ছিলেন লিয়াকত। তবে বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন না কারাগারে আছেন তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

মীর লিয়াকত আলীর ছোট ভাই জুয়েল মীরের দাবি, তার বড় ভাই মীর লিয়াকত আলী বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ। তিনি কথা বলতে পারছেন না। তার ফোন বন্ধ। বর্তমানে তিনি পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ধর্ষণ মামলায় বর্তমানে জেলে থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে জুয়েল মীর আরও বলেন, দু তিনদিন আগে তিনি জামিন পেয়েছেন। খুব দ্রুত তিনি এলাকায় আসবেন।

সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘উপজেলা থেকে মনোনয়নের জন্য মীর লিয়াকত আলীর নামসহ আরও কয়েকজনের নাম পাঠানো হয়েছিল। কেন্দ্রীয় কমিটি তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। জেলে থেকেই তিনি মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছেন। তিনি ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত নন। তবে মামলাটি চলমান।’

মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা জানি তিনি মামলার আসামি। আমরা তার আবেদনের সঙ্গে লিখেই দিছি তিনি ধর্ষণ মামলার আসামি। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।’


সর্বশেষ সংবাদ