টিকটক বানানোর কথা বলে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধষর্ণ

আটক ৬ অভিযুক্ত
আটক ৬ অভিযুক্ত  © সংগৃহীত

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় শুক্রবার দিবাগত রাতে টিকটকার এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ দল জোরপূর্বক নগ্ন ভিডিও ধারণ ও পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকছেদুর রহমান।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী গ্রামের আমজাদ খাঁনের ছেলে আকরাম খাঁন (২৫) ও মধুখালি উপজেলার কাঠালবাড়ি গ্রামের সাগর মোল্লার ছেলে জুয়েল মোল্লাকে (৩০) ধর্ষণ মামলার আসামি করা হয়েছে। সাইদুল মোল্লা (৩০) মামুন শরীফ (৩২), বাবু মোল্লা (৩০) ও মো. জুয়েল মোল্লাকে (২৪) পর্ণগ্রাফি আইনের আমলায় আসামি করা হয়েছে। 

পুুলিশ জানায়, ৩১ ডিসেম্বর ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা থেকে ভুক্তভোগি টিকটকার ওই তরুণীকে (২০) নতুন টিকটক ভিডিও তৈরীর জন্য আকরাম নামের এক টিকটকার ভাঙ্গা উপজেলায় ডেকে আনেন। ওই তরুণীকে উপজেলার ঘারুয়া গ্রামে একটি বাড়িতে আটকে রেখে প্রথম দফায় প্রলভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে আকরাম হোসেন তা ভিডিও করে ব্লাকমেইল শুরু করেন। এরপর সেখান থেকে ওই তরুণীকে আকরাম ও তাঁর সহযোগী দুই যুবক ৩ জানুয়ারী উপজেলার বাবলাতলা বাজার সংলগ্ন একটি ভাড়াবাসায় স্ত্রী পরিচয়ে নিয়ে ওঠেন।

বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে চুমুরদী ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য আনারুদ্দিনের ছেলে ছাইদুল মোল্লাসহ তাদের আরও ৫/৭ সহযোগীরা আকরামসহ ওই তরুণীকে বসতঘরে আটকে রাখে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী তরুণী ও আকরামকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারপিট করে এবং মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে।

একপর্যায়ে তাদের ব্ল্যাকমেইল শুরু করে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন ইউপি সদস্যের ছেলে ও তাঁর সহযোগীরা। পরবর্তিতে তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে কিছু টাকাও দেয় আকরাম। টাকা পেয়ে চলে যায় ছাইদুল ও তাঁর সহযোগীরা।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের দুটি ও পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলার প্রক্রিয়াধীন।


সর্বশেষ সংবাদ