দশ দিন ধরে নিখোঁজ ৩ মাদ্রাসাছাত্র

জাকারিয়া মিয়া, আব্দুল ওয়াহিদ ও রাহিম উদ্দিন
জাকারিয়া মিয়া, আব্দুল ওয়াহিদ ও রাহিম উদ্দিন  © ফাইল ছবি

হবিগঞ্জে নিখোঁজের ১০ দিনেও সন্ধান মেলেনি তিন মাদ্রাসাছাত্রের। এ নিয়ে তাদের পরিবারে চলছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকেলে তারা নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ ছাত্রদের পরিবার বাহুবল মডেল থানায়  সাধারণ ডায়রি করেছেন।

নিখোঁজ ছাত্ররা হলো বাহুবল উপজেলার উত্তরসুর গ্রামের হাফেজ আব্দুস শহিদের ছেলে জাকারিয়া মিয়া (১৩), নিজগাঁও গ্রামের পাকু মিয়ার ছেলে আব্দুল ওয়াহিদ (১৪) এবং হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব কাটাখালী গ্রামের মৃত ফিরোজ আলীর ছেলে রাহিম উদ্দিন (১৪)। 

তারা বাহুবল জামেয়া মাহমুদিয়া হামিদনগর মাদ্রাসার ছাত্র।

ওই মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম বলেছেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাদের। ওইদিনই তিন ছাত্রের পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়।

অভিভাবকরা জানান, সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুজি করে তাদের কোনো সন্ধান পাননি।

নিখোঁজ জাকারিয়ার বাবা হাফেজ আব্দুস শহিদ, ওয়াহিদের বাবা পাকু মিয়া ও রাহিম উদ্দিনের বড় ভাই সাইদ আহমদ বাহুবল মডেল থানায় আলাদা আলাদা তিনটি জিডি করেছেন গত ২২ সেপ্টেম্বর। 

হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম জানান, ‘তিনজন ছাত্রই ব্যবহার ও লেখাপড়ায় খুব ভালো। তাদের কোনো সময় শাস্তি বা ধমক দেওয়া হয়নি। কেন তারা পালিয়ে গেল বুঝতে পারছি না।’

এ ব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের কাছে শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষিত রয়েছে। ফুটেজে দেখা যায় নিখোঁজ তিন শিক্ষার্থী একটি ঢাকামুখী ট্রেনে উঠে  চলে গেছে। তাদের সঙ্গে আর কেউ ছিল না। ধারণা করছি সেচ্ছায় পালিয়ে গেছে তারা। আমরা তাদের খোঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’

নিখোঁজ রাহিম উদ্দিনের বড়ভাই সাইদ আহমদ বলেন, ‘আমার ছোট ভাই রাহিমসহ তিন মাদ্রাসাছাত্র ১০ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। তাদের সন্ধান বের করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে হন্যে হয়ে ঘুরছি। কিন্তু কোনো সন্ধান পাচ্ছি না।’ 

বাহুবল থানার ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাশ জানান, অভিযান চলছে। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে আশা করছি ভালো সংবাদ দিতে পারব।


সর্বশেষ সংবাদ