চৈত্রসংক্রান্তি ও হালখাতায় পুরান ঢাকার রঙিন প্রস্তুতি
- জুনায়েদ মাসুদ
- প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৭ PM , আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১১ PM

১৪৩১ বঙ্গাব্দ আজ শেষ হচ্ছে। আগামীকাল হবে বাংলা নতুন বছর ১৪৩২-এর সূচনা। বছরের শেষ দিন হওয়ায় আজ চৈত্রসংক্রান্তি। পুরোনোকে বিদায় আর নতুনকে বরণ করতে পুরান ঢাকায় চলছে হালখাতার জোর প্রস্তুতি। নববর্ষের প্রথম দিনে আয়োজন করা হবে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী উৎসব হালখাতা।
গত বছরের ক্রেতা-বিক্রেতার দেনাপাওনা চুকিয়ে নতুন বছরের শুরুতে দোকানিরা ক্রেতাদের মিষ্টিমুখ করাবেন। এজন্য আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজার, শ্যামবাজার, ইসলামপুর, বাবুবাজার, চকবাজার ও মৌলভীবাজারের দোকানপাটে ধোয়ামোছা, পরিষ্কারের ব্যস্ততা দেখা গেছে। নতুন বর্ষকে স্বাগত জানাতে ব্যবসায়ীরা তাদের নিয়মিত ক্রেতাদের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।
পুরান ঢাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সময়ের পরিবর্তনে হালখাতার আগ্রহ অনেকটাই কমে গেছে। কম্পিউটারে হিসাব রাখার কারণে লালসালু মোড়া খাতার চল প্রায় উঠে গেছে। এখন অনেকটা নিয়ম রক্ষার জন্যই হালখাতা আয়োজন করা হয়। আগের মতো বাকি পরিশোধের রেওয়াজও কমে যাওয়ায় উৎসবের উচ্ছ্বাস কিছুটা ম্লান।
ইসলামপুরের কাপড় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ছোটবেলায় হালখাতা ছিল মহোৎসবের মতো। এখন ব্যবসা ডিজিটাল হয়েছে, পাওনাদারও কম। তবু বছরের এই সময়টা মনে করিয়ে দেয়, ব্যবসার সঙ্গে আবেগ আর সম্পর্কও জরুরি। তাই দোকান সাজিয়ে, মিষ্টিমুখ করিয়ে পুরোনো ক্রেতাদের স্মরণ করি। পুরান ঢাকার প্রাণ এই সম্পর্কগুলোতেই।’
এদিকে চৈত্র সংক্রান্তিতে ধর্মীয় রীতিতে আজ পূজায় ব্যস্ত দেখা গেছে পুরান ঢাকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের। মন্দিরে মন্দিরে গান, সংযাত্রা, নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজন করেছেন তারা। তবে শাঁখারীবাজার ও ইসলামপুরে আবহমান বাংলার চিরায়ত নানা ঐতিহ্য এখন আর আগের মতো প্রাণবন্ত নয়। ধর্মীয় আয়োজনে দিনটি চৈত্র সংক্রান্তির আবহ নিয়ে এসেছে পুরান ঢাকার অলিগলিতে।