অবৈধ দাবি না মানায় বিনার মহাপরিচালককে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে স্লোগান

বাকৃবি
বাকৃবি   © ফাইল ফটো

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালকের (ডিজি) বিতর্কিত কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এলাকাবাসী। এ সময় মহাপরিচালককে ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যা দিয়েও স্লোগান দিতে দেখা যায়। অবৈধভাবে পদন্নোতির দাবি না মানায় ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বলে জানিয়েছেন বিনার মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আবুল কালাম আজাদ।

আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন বিনার মহাপরিচালক। তিনি বলেন, আমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করি। আমি তো চাইলেই যা ইচ্ছে করতে পারি না। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বার্থ দেখেই কাজ করছি। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত পরিচালনা পর্ষদ নিয়েছে, সেটি বাস্তবায়নেও জোরালোভাবে কাজ করছি। সবকিছু নিয়ম মেনে হবে। কিন্তু তারা কিছুতেই তা বুঝতে চাচ্ছে না। 

তিনি আরো বলেন, এক্ষেত্রে তাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। তা না করে বরং তারা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে এলাকার লোকজন নিয়ে বিশৃঙ্খলা করতে চাচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এজন্যে আমাকে নিয়ে বিভিন্নভাবে মিথ্যাচার করছে। ভালো কথা ঘুরিয়ে খারাপভাবে বলছে। যা বলছে সবই বানোয়াট ও মিথ্যা।

জানা যায়, রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে বিনার ভবন এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা দেশের একমাত্র এ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানটিকে অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট মুক্ত করার দাবি জানান। এছাড়াও সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে কিছু বহিরাগত ব্যক্তি বিনার প্রধান ভবনে প্রবেশ করে। তারা মহাপরিচালকের (ডিজি) কক্ষ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের করে দিয়ে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এরপর তারা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে-বাইরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। 

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বিনার মহাপরিচালকের একান্ত সচিব (পিএস) ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. শাহ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সোমবার অতর্কিতভাবে কিছু লোক অফিসের ভেতরে ঢুকে মহাপরিচালকের রুমের বাহিরে তালা লাগিয়ে দেয়। এখন আমরা আতঙ্কিত বোধ করছি। মহাপরিচালক অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিনার এক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে গবেষকদের মনোযোগ গবেষণার দিকে থাকলেও একটি মহল ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিরতা তৈরি করছে। মহাপরিচালক সঠিক নিয়ম মেনে পদোন্নতি দেওয়ার চেষ্টা করছেন, কিন্তু কিছু অসন্তুষ্ট ব্যক্তি মিথ্যা অভিযোগ তুলে আন্দোলন করছে।

বিনার প্রশাসন ও সাপোর্ট সার্ভিসের পরিচালক ড. মো. মনজুরুল আলম মন্ডল বলেন, মূল বিষয় হলো মহাপরিচালকেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। মন চাইলেই পারে না কিছুই। বিনা মন্ত্রণালয়ের অধীনের একটা প্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয়ের বাইরে কেউ কিছু করতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয় এখনো কোনো রিপোর্ট দেয় নাই। আগে আওয়ামী লীগ সরকার ছিল, যারা বিএনপি করেছে, তারা কিছুটা বঞ্চিত হয়েছে, এটা সত্য। কিন্তু চাইলেই মহাপরিচালক সেটা ঠিক করে দিতে পারেন না, নিয়মানুযায়ী করতে হবে। আমরা আমাদের কমিটির সুপারিশের ডাক দিবো। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তীতে বিনার বোর্ড অব ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে বাকি কাজ হবে।


সর্বশেষ সংবাদ