শেকৃবিতে ৬ মাস ধরে আটকে আছে বৃত্তির টাকা, ফাইল নিখোঁজ

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি সেমিস্টারে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয় ১২ থেকে ১৮ হাজার টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন (২০০১) থেকে বৃত্তির টাকা সেমিস্টার প্রতি ১২ করেই দেয়া হচ্ছে। কিন্তু  কৃষি অনুষদের লেভেল-১ সেমিস্টার-২ শিক্ষার্থীদের ফলাফল ৬ মাস আগে প্রকাশিত হলেও এখনো বৃত্তির টাকা পায়নি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। এসব শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সংক্রান্ত ফাইলটি হারিয়ে গেছে বলে জানা যাচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি দপ্তরে চলে ধীর গতির কাজ। অর্থ সংক্রান্ত হলে আরও বাড়ে ভোগান্তি। এসবের ফলে সঠিক সময়ে বৃত্তি, কোন বিষয়ের অনুমোদন, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের অর্থসংক্রান্ত ফাইলসহ বিভিন্ন কাজে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। 

জানা যায়, কৃষি অনুষদের লেভেল-১ সেমিস্টার-২ শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশিত হয় চলতি বছরের জুন মাসে। ফলাফল প্রকাশের ৬ মাস পরেও বৃত্তির টাকা পায়নি পাশ করা ২৯৮ জন শিক্ষার্থী।

লেভেল-১ সেমিস্টার-২ এ উত্তীর্ণ এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের লেভেল-১ সেমিস্টার-২ এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে জুন মাসে। এখন লেভেল-২ সেমিস্টার-২ এর পরীক্ষা চলছে। অথচ এখনও আমরা লেভেল-১ সেমিস্টার-২ এর বৃত্তির টাকা পাইনি।

আরও পড়ুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট পান না ৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থী

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, লেভেল-১ সেমিস্টার-২ এর বৃত্তির ফাইল বিভিন্ন দপ্তরে অনুমোদিত হয়ে একাডেমিক এন্ড স্কোলারশিপ দপ্তরে আসে। এরপর ওই দপ্তর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ১২ তারিখে একাউন্ট এন্ড ফিন্যান্স বিভাগে অনুমোদনের জন্যে পাঠায়। এখান থেকে অনুমোদিত হয়ে ফাইলটি পরবর্তী দপ্তরে যাবে। তবে প্রতিবেদকের সামনে অনেক খুঁজেও বৃত্তির ফাইলটির বের করতে পারেননি একাউন্ট এন্ড ফিন্যান্স দপ্তরের সহকারী পরিচালক নাহিদা পারভীন।

একাডেমিক এন্ড স্কোলারশিপ শাখার সহকারী রেজিষ্টার কৃষিবিদ হরি কমল দাশ বলেন, ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর কবে নাগাদ বৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীরা পাবে এর কোন নির্ধারিত সময় নেই। ফলাফল আমাদের নিকট আসার পরেই কাজ শুরু হয়। আমরা প্রথমে ম্যানুয়ালি বৃত্তি প্রাপ্তদের তালিকা করি। তারপর ক্রমান্বয়ে রেজিষ্টার, ডিন, উপাচার্যের কাছে অনুমোদিত হয়ে আমাদের নিকট আবার আসে। 

কৃষিবিদ হরি কমল দাশ বলেন, আমরা সেটিকে অর্ডার হিসেবে ফিন্যান্স এন্ড একাউন্টস দপ্তরে পাঠাই। তারা বিল তৈরি করে এবং সর্বশেষে হল প্রভোষ্ট বৃত্তির টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে হল ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেয়। এতগুলো দপ্তর ঘুরে শিক্ষার্থীদের হাতে যেতে বেশ সময় লেগে যায়।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার শেখ রেজাউল করিম বলেন, বৃত্তির ফাইল আটকা আছে এটি আমার জানা ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পেতে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত থাকা উচিত। আমি এটি নিয়ে দ্রুত কাজ করব। আশা করি পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা দ্রুত তাদের বৃত্তির টাকা পাবে।


সর্বশেষ সংবাদ