গুচ্ছের নেতৃত্বে আবারও আসছে শাবিপ্রবি!

ভর্তি পরীক্ষার্থী
ভর্তি পরীক্ষার্থী  © ফাইল ফটো

গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় আবারও নেতৃত্বে আসতে যাচ্ছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। শুক্রবার (১৮ মার্চ) চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সভা শেষে এমনই আভাস দিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত উপাচার্যরা।

তারা বলছেন, প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হয়েছে। এত বড় পরিসরে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কিছু অভিযোগ থাকলেও সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এর পেছনে শাবিপ্রবি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্ন পৌঁছানোসহ গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়েই কাজ করেছে শাবিপ্রবি ও জবি। তাই চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষাতেও তাদের হাতেই নেতৃত্ব দিতে চান উপাচার্যরা।

এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য সঅধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, চলতি বছরের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শাবিপ্রবি ও জবির নেতৃত্বেই হোক, এমনটাই অভিমত দিয়েছেন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয় একটি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। সেই অভিজ্ঞতা ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাতেও কাজে লাগবে।

আরও পড়ুন: গুচ্ছের সভায় ‘সেকেন্ড টাইম’ নিয়ে আলোচনা হয়নি

এদিকে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক উপাচার্য জানিয়েছেন, চলতি বছরের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যই থাকার বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য কিছুটা সময় চেয়েছেন। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাতেও জবি নেতৃত্ব দিক এমনটাই চান তারা। জবি যদি গুচ্ছে থাকে তাহলে শাবিপ্রবি ও জবিই ভর্তি পরীক্ষায় নেতৃত্ব দেবে বলেও জানান তারা।

এ প্রসঙ্গে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, যেহেতু জগন্নাথ ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় একটি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। তাই আমরা চাচ্ছি আগামীতেও তারাই নেতৃত্ব দিক। এটি গুচ্ছের সামগ্রিক প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করবে।

জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা গুচ্ছের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তারা বলছেন, গুচ্ছ কমিটি ভর্তি পরীক্ষায় অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ধরে রাখার জন্য নিজস্ব পদ্ধতিতে ফেরার বিকল্প নেই। তাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছের বাহিরে রাখার দাবি তাদের।

আরও পড়ুন: গুচ্ছে থাকার পক্ষে ১৯ ভিসি, সময় চেয়েছেন একজন

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা গুচ্ছে থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন। গতবারের ভুল-ত্রুটি শুধরে নিয়ে এগুতে চান তারা। তবে আমরা গুচ্ছে থাকা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেই নি। আমরা বলেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও শিক্ষক সমিতির সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবো।

গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।


সর্বশেষ সংবাদ