ধেয়ে আসছে তীব্র শীত © সংগৃহীত
হিমেল হাওয়ার দাপটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের উপস্থিতি আরও বাড়তে শুরু করেছে। তাপমাত্রা ইতোমধ্যে নেমে এসেছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, এটি মৌসুমের এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন। চলতি মাসের শেষের দিকে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। সেই সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে একটি শৈত্যপ্রবাহ জানুয়ারীর মাঝামাঝি অথবা যেকোনো সময়ে দুটি শৈত্যপ্রবাহ এবং ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের দিকে একটি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। এরপর শীতের আমেজ কমতে থাকবে। দেশের তাপমাত্রা আবারও বাড়তে শুরু করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম শৈত্যপ্রবাহটি হয়তো সিলেটে অঞ্চলে দেখা যেতে পারে। এছাড়াও অন্যন্য অঞ্চলেও হতে পারে।
আরও পড়ুন: শনিবার সকাল থেকে দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ থাকবে না দুই জেলায়
এদিকে শুক্রবার সকালে আবহাওয়ার একটি পূর্বাভাসে সংস্থাটি জানিয়েছে, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসে দেশে ২ থেকে ৩টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এসব শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, এ সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৩ থেকে ৮টি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে, যেখানে তাপমাত্রা ৪-৬ ডিগ্রির মধ্যে নেমে আসতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদ-নদীর অববাহিকা ও আশপাশের এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কখনো কখনো দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা যেতে পারে।
এছাড়াও ঘন কুয়াশার কারণে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে শীতের অনুভূতি বৃদ্ধি পেতে পারে। সেই সঙ্গে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষার্ধে দেশের কোথাও কোথাও ১ থেকে ২ দিন শিলাবৃষ্টিসহ বজ্রঝড় হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।