পুরনো ফোন ডি-রেজিস্ট্রেশন করুন এক ক্লিকেই

৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪২ PM
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি © সংগৃহীত

আগামী ১৬ ডিসেম্বর (বিজয় দিবস) থেকে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হচ্ছে ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার’ (NEIR)। যার মাধ্যমে দেশে ব্যবহৃত প্রতিটি মোবাইল ফোনকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে অবৈধ, নকল বা আন-অফিশিয়াল মোবাইল হ্যান্ডসেট শনাক্ত ও বন্ধ করা সহজ হবে।

বিটিআরসি জানিয়েছে, প্রতিটি হ্যান্ডসেটের আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত আইএমইআই (IMEI) নম্বর ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং ব্যবহৃত সিম নম্বরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। ফলে কোন ফোন বৈধ, আর কোনটি অবৈধ; তা দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

নিবন্ধন ও ডি-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
১৬ ডিসেম্বরের পর নতুন করে কোনো মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হলে সেটির নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হবে। বৈধ হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধনের আওতায় চলে আসবে, তাই গ্রাহককে আলাদা করে কিছু করতে হবে না।

তবে যাদের ফোন ইতিমধ্যে নিবন্ধিত, তারা চাইলে সেটি ডি-রেজিস্ট্রেশন (De-registration) করতে পারবেন। ডি-রেজিস্ট্রেশন ছাড়া একজনের নামে নিবন্ধিত ফোনে অন্য কারও সিম ব্যবহার করা যাবে না। অর্থাৎ, বিক্রয় বা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ডি-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই বাধ্যতামূলক। ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে হ্যান্ডসেট বিক্রয় বা হস্তান্তরের সময় গ্রাহককে নিজ এনআইডির শেষ চারটি সংখ্যা দিয়ে ডি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

ঘরে বসেই ডি-রেজিস্ট্রেশন করার উপায়
ব্যবহারকারীরা নিচের মাধ্যমগুলোতে সহজেই ডি-রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন—
১. বিটিআরসি সিটিজেন পোর্টাল: neir.btrc.gov.bd
২. মোবাইল অপারেটরদের (MNO) পোর্টাল
৩. মোবাইল অ্যাপ
৪. ইউএসএসডি চ্যানেল: *16161#

ডি-রেজিস্ট্রেশনের শর্ত
১. হ্যান্ডসেটে ব্যবহৃত সিমটি অবশ্যই গ্রাহকের নিজ এনআইডিতে নিবন্ধিত হতে হবে।
২. ক্লোন বা ডুপ্লিকেট আইএমইআই সম্বলিত ফোন ডি-রেজিস্ট্রেশন করতে হলে নতুন ব্যবহারকারীর সিম নম্বর দিতে হবে।

কর্পোরেট সিম ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ নিয়ম
কর্পোরেট সিম গ্রাহকদের ৩০ দিনের মধ্যে ইউএসএসডি বা সিটিজেন পোর্টালের মাধ্যমে ব্যক্তিগত এনআইডির তথ্য জমা দিতে এসএমএস পাঠানো হবে। তথ্য জমা দেওয়ার পর তারা ব্যক্তিগত এনআইডি বা কি-কন্টাক্ট-পয়েন্ট (KSP) এর এনআইডি ব্যবহার করে ডি-রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। যদি ব্যক্তিগত তথ্য জমা না দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র KSP-এর এনআইডি দিয়েই ডি-রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

বিটিআরসি জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে অবৈধ মোবাইল ফোনের ব্যবহার রোধ করা এবং ব্যবহারকারীদের নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল নেটওয়ার্ক সেবা নিশ্চিত করা।

আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে পুলিশ সদস্যদের যেসব নির্দেশ দিলে…
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
জকসু নির্বাচনে শীর্ষ তিন পদে এগিয়ে ছাত্রশিবির 
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হল ‘স্টুডেন্ট রিসার্চ ডে ২…
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
এনসিপিতে যোগদান সন্ধ্যায়, দুপুরে নেন ঢাকা-১২ থেকে গণঅধিকারে…
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিষ্ঠান প্রধান হতে পেতে হবে ৫০ শতাংশ নম্বর, মৌখিক পরীক্ষ…
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
এক নজরে বাংলাদেশের গত ৩৫ বছরের জাতীয় নির্বাচন
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫