সমাবর্তনে এক শিক্ষার্থীকে পদক তোলে দেওয়া হচ্ছে © টিডিসি
অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত সমাবর্তন আজ শনিবার ঢাকার বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ণাঢ্য আয়োজন, সুশৃঙ্খল পরিবেশ এবং শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে পুরো অনুষ্ঠানস্থল উৎসবে রূপ নেয়।
সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করেন। এ সময় তিনি বলেন, অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক ও গবেষণাধর্মী শিক্ষার মাধ্যমে দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক অবদান রেখে চলেছে।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আনম এহসানুল হক মিলন। তিনি সদ্য স্নাতকদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যে বলেন, ‘আজকের এই অর্জন আপনাদের জীবনের নতুন যাত্রার সূচনা মাত্র। বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে এ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হলে প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা, সৃজনশীলতা ও দৃঢ় মনোভাব।’
বিশেষ অতিথি ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘একাদশ শতকের খ্যাতিমান বাঙালি পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্করের নাম ধারণকারী এই বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম অংশীদার হবে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের তরুণদের আরও উদ্ভাবনমুখী শিক্ষায় অগ্রসর হতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম. শামসুল আলম লিটন গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘দেশে প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষিত বেকারের বাস্তবতা আমাদের ভাবায়। তাই আমরা শুধু ডিগ্রি নয়, বাস্তব দক্ষতা অর্জনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।’
তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (এসডিআই) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল দক্ষতা, ভোকেশনাল অভিজ্ঞতা ও বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, মানবিক মূল্যবোধ ও গবেষণা-মনস্কতার সমন্বয়ে দেশপ্রেমিক নাগরিক গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।’
সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ হাজার ৩২৬ শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ ছাড়া বিশেষ কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ২৭ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় ৬ জনকে চ্যান্সেলর’স অ্যাওয়ার্ড, ৫ জনকে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ চেয়ারম্যানস অ্যাওয়ার্ড এবং ১৬ জন শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলরস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক, শিক্ষাবিদ, লেখক, সাংবাদিক, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং বিভিন্ন খ্যাতনামা ব্যক্তিবর্গ।
সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও বিশেষ লেজার শো অনুষ্ঠিত হয়, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে।