রাকসু জিএস সালাহ উদ্দিন আম্মার © সংগৃহীত
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি। এরই মাঝে, ঘাতকদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে সম্প্রতি প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। ওসমান হাদির আকাঙ্ক্ষার এ আসনে তার বোন নির্বাচন করার কথা থাকলেও অবশেষে তিনি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এবং ইনকিলাব মঞ্চেরও কেউ আগ্রহী হননি।
এমতাবস্থায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (রাকসু) জিএস সালাহ উদ্দিন আম্মার ইনকিলাব মঞ্চ থেকে যে কাউকে ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচন করার অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন। বিশেষে করে, প্লাটফর্মটির সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবেরকে। তিনিও বৃহৎ স্বার্থ বিবেচনায় এতে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন। কোন কারণে আসলে ইনকিলাব মঞ্চ থেকে কেউ প্রার্থী হচ্ছে না, সে বিষয়ে নিজের উপলব্ধির কথা জানিয়েছেন রাকসু ভিপি আম্মার।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ বিষয়ে জানান।
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের পাঠকদের জন্য সালাহ উদ্দিন আম্মারের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হল:
শহীদ হাদির পরিবার এবং ইনকিলাব মঞ্চ প্রার্থী দিচ্ছে না!
আব্দুল্লাহ আল জাবের ভাইকে রাতে বারবার অনুরোধ করার পরেও উনি যেটা বললেন সেটাও ফেলে দেওয়ার মতো না।
এই মানুষগুলো ক্ষমতা থেকে দূরে থাকতে আর ইনসাফের লড়াই করতেই জন্ম নিয়েছে হয়তো।
জাবের ভাইয়ের কনসার্নটাও ফেলে দেওয়ার মতো না।
উনি যে কনসার্ন দিলেন তার বাস্তব উদাহরণ মীর মুগ্ধের ভাই মীর স্নিগ্ধ।
আমি জুলাইয়ের পরে আল্লাহর শপথ অনেক বাজে উপলব্ধি পেয়েছি। শহীদের মাকেও দেখেছি ছেলের লাশকে ক্যাশ করতে। ভাইকে ক্যাশ করতে তো সবাই দেখেছেন।
শহীদ ওসমান হাদির লাশ যেনো কোনোভাবে ক্যাশ করে তার ইনসাফের লড়াইটা নিভিয়ে দেওয়া না হয়, এজন্যই এই সিদ্ধান্ত।
ঢাকা-০৮ আসনে শহীদ ওসমান হাদির পরিবার বা ইনকিলাব মঞ্চ কাউকে দাড় করিয়ে দিলে সে বিপুল সমর্থন পাইতো। এমনও হতো জামায়াত,এনসিপি এই আসনটা ছেড়ে দিতো। ক্ষমতা পাওয়ার থেকে ক্ষমতা পেয়ে শহীদের আমানত রক্ষা করতে না পারার আশঙ্কায় দাড়াবেন না কেউই।
শহীদ হাদি কতো ভাগ্যবান!
আশেপাশের মানুষগুলোও তার ইনসাফের লড়াইয়ে কতো নিবেদিত প্রাণ।
আমি এখনও কেনো জানি মেনে নিতে পারতেছিনা আবার কনসার্নটা ফেলেও দিতে পারতেছিনা।
এখন বাজে ০৯.৩০, দুপুর ১২টার মধ্যে মোট ভোটারের ১% স্বাক্ষর অর্থাৎ ৪৫০০ স্বাক্ষর নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়ন জমা দিতে হবে। রাতে বারবার অনুরোধ করেছিলাম অন্তত আমি জাবের ভাইয়ের পক্ষে মনোনয়ন নেই কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজি করাতে পারলাম না।
দেশবাসী রাজি করাতে পারলেও তখন হয়তো সময় শেষ হয়ে যাবে।
আমাদের শহীদ ওসমান হাদি অমর হয়েই থাকবে, সংসদের দখলদার, চাঁদাবাজদের আর কোনো চিন্তা নেই।