ট্রফি হাতে ক্রিস্তিয়ানো রোনাল্দো © সংগৃহীত
২০২৬ সালের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে পর্তুগাল। এখনও একবারও বিশ্বকাপ জিততে না পারা দলটির নজর এবার ট্রফির দিকেই। একইসঙ্গে এটি হতে যাচ্ছে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর আন্তর্জাতিক ফুটবলে শেষ আসর। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৬ সালের পর আর আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেখা যাবে না তাঁকে। ফলে রোনালদোর জন্যও এ বিশ্বকাপ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে দলের শক্তিমত্তা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় বিশ্বকাপ জেতা পর্তুগালের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জই হয়ে থাকছে।
এদিকে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পর্তুগালের নাম আলোচনায় উঠে এসেছে একটি অদ্ভুত সূত্র ধরে আমেরিকার জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড শো দ্য সিম্পসনসের একটি পুরোনো এপিসোড। ১৯৯৭ সালের সেই এপিসোডে দেখানো হয়, ২০২৬ সালের বড় ফুটবল টুর্নামেন্টে মেক্সিকোকে হারিয়ে শিরোপা জিতছে পর্তুগাল। যদিও সেখানে রোনালদোসহ কোনো খেলোয়াড়ের নাম উল্লেখ ছিল না। তবু তিনি যেহেতু দলের অধিনায়ক, তাই আলোচনায় তাঁর নামই ঘুরে ফিরে আসছে।
কেন আবার ভাইরাল সিম্পসনের ভবিষ্যদ্বাণী?
অতীতে দ্য সিম্পসনসের করা একাধিক ভবিষ্যদ্বাণী মিলেছে বলে বিশ্বজুড়ে এ সিরিজটি আলোচিত। করোনা মহামারি থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়া—এমন সব ঘটনাই সিরিজের বিভিন্ন এপিসোডে আগে দেখানো হয়েছিল। যদিও সেগুলোতে সরাসরি COVID-19 বা ট্রাম্পের নাম উল্লেখ ছিল না।
দ্য কার্ট্রিজ ফ্যামিলি নামে এপিসোডটিতে সিম্পসন পরিবারের সদস্যদের টিভিতে ফুটবল ম্যাচ দেখতে দেখানো হয়। সেখানে খেলছে মেক্সিকো ও পর্তুগাল। ১৯৯৭ সালের ২ নভেম্বর প্রচারিত এ এপিসোডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের স্প্রিংফিল্ড স্টেডিয়ামে। ‘বিশ্বসেরা হওয়ার লড়াই’ হিসেবে উল্লেখ থাকায় অনেকে এটিকে বিশ্বকাপের সঙ্গে মিলিয়ে দেখছেন।
সম্প্রতি রোনালদোর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎকেও সমর্থকদের কেউ কেউ ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ হিসেবে দেখছেন—যদিও এর কোনও যৌক্তিক সম্পর্ক নেই।
এর আগেও ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে একই ভবিষ্যদ্বাণী আলোচনায় এসেছিল, যদিও কোনওবারই মেলেনি। এবার সমর্থকদের নতুন আশার জায়গা, ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে যুক্তরাষ্ট্রে, ঠিক যেমনটি দেখানো হয়েছিল সিম্পসনের সেই এপিসোডে।
সব মিলিয়ে, সিম্পসনের ভবিষ্যদ্বাণীকে ভরসা করে রোনালদো ও পর্তুগালকে ঘিরে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন দেশটির সমর্থকরা।