হামজা দেওয়ান চৌধুরী © সংগৃহীত
বাংলাদেশের জার্সি প্রথমবার গায়ে দেওয়ার পর থেকেই ভক্ত-সমর্থকদের মন জয় করে চলেছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। গেল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে যেন তার উজ্জ্বলতার পূর্ণ বিকাশ ঘটে। দল যখন গোলের জন্য ব্যাকুল, ঠিক তখনই তৃষ্ণার্ত দর্শকদের সামনে উপহার দেন এক অপূর্ব বাইসাইকেল কিক, এ যেন অভিভূত করে তোলা এক গোল। এরপরেও অবশ্য পেনাল্টি স্পট থেকে বল জালে পাঠিয়ে দ্বিগুণ উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেন গ্যালারিতে। তবু অতিরিক্ত সময়ে গোল হজম করে হতাশ হতে হয় বাংলাদেশকে; ২-২ সমতা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
এমন নান্দনিক পারফরম্যান্সের পরও প্রত্যাশিত জয় না পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ছিলেন হামজা। তবুও তার কণ্ঠে ছিল দৃঢ় প্রতিশ্রুতি; আরও প্রস্তুত হয়ে, আরও শক্ত হয়ে বড় লড়াইয়ের মঞ্চে ফেরার ইঙ্গিত। আজ (১৮ নভেম্বর) ভারতের বিপক্ষে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচকে সামনে রেখে তিনি জানালেন, লড়াইয়ের জন্য প্রহর গুনছেন তারা।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে হামজা লিখেছেন, 'বড় ম্যাচের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। দর্শকদের কাছ থেকে এতদিন যেমন : সমর্থন পেয়েছেন, সেটা আজও স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দেখতে চান হামজা।'
এদিকে চার ম্যাচ শেষে ‘সি’ গ্রুপে দুই দলেরই সংগ্রহ চার পয়েন্ট। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ, আর তলানিতে ভারত। তাই আজকের ম্যাচ শুধু পয়েন্ট নয়, বরং আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া ও মর্যাদা রক্ষার লড়াইও।
এ পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ২৯ বার। ভারত জিতেছে ১৩ ম্যাচ, বাংলাদেশ তিনটি, আর ১৩টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
সবশেষ দেখা হয়েছিল চলতি বছরের মার্চে শিলংয়ে, সেই ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। ভারত সর্বশেষ বাংলাদেশে খেলেছিল ২০০৩ সালে ঢাকায় সাফ গোল্ড কাপে, যেখানে স্বাগতিক বাংলাদেশ জিতেছিল ২-১ গোলে। সবমিলিয়ে ২২ বছর পর আবার বাংলাদেশে ফিরছে ভারত, যা এই লড়াইয়ে নতুন উত্তাপ যোগ করেছে।
এদিকে এই ম্যাচের উত্তেজনার পারদ এতটাই যে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার মুহূর্তের মধ্যেই অনলাইনে সব টিকিট শেষ হয়ে যায়। তবে স্টেডিয়ামে যেতে না পারা অসংখ্য সমর্থক জায়ান্ট স্ক্রিন, টেলিভিশন ও মোবাইলে বসেই উপভোগ করতে পারবেন ম্যাচটি।
যারা মাঠে থাকতে পারবেন না, তাদের জন্য ম্যাচটি সরাসরি দেখাবে টি-স্পোর্টস। আর টিভির সামনে থাকা সম্ভব না হলে সাবস্ক্রিপশন নিয়ে টি-স্পোর্টস অ্যাপেও দেখা যাবে পুরো খেলা। পাশাপাশি লাইভ স্কোর জানতে অলফুটবল ও সোফাস্কোরের মতো অ্যাপ রয়েছে ভরসা হিসেবে। বিভিন্ন অ্যাপেও লাল-সবুজের ফুটবলপ্রেমীরা ম্যাচটি দেখার সুযোগ পাবেন।