ডাক দিলে ছাত্রলীগের ১০ হাজার নেতা-কর্মী বেরিয়ে আসবে: নানক
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২২, ০৮:৩৪ AM , আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২২, ০৮:৩৪ AM
শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেছেন তোমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে, যেন যেকোনো ডাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে ছাত্রলীগের দশ হাজার যোদ্ধা রাস্তায় বেরিয়ে যেতে পারে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
নানক বলেন, বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান ছিলেন মুক্তিকামী মানুষের নেতা, বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিত মানুষের নেতা। বঙ্গবন্ধু মুজিব বলেছিলেন- ‘বিশ্ব আজ দুভাগে বিভক্ত। শোষক আর শোষিত- আমি শোষিতের পক্ষে’।
১৫ আগস্টের হৃদয়বিদারক স্মৃতি স্মরণ করে নানক বলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা–শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা বেলজিয়াম থাকার কারণে রক্ষা পেয়েছিলেন। আর রক্ষা পেয়েছিলেন বলেই শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের ভোট-ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সামরিক জান্তাদের যাঁতাকলে শেখ হাসিনা ফিরে এসে বলেছিলেন- আমি ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো।
আরও পড়ুন: ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে ছাত্রলীগ বসে থাকবে না: লেখক
আলোচনা সভায় হল ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান শান্তর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আকরাম হোসেন।
আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বরিকুল ইসলাম বাধন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন খান।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ২০০১ সালের পরে বিএনপি আমাদের ২৬ হাজার নেতা কর্মীকে হত্যা করেছিল। সারা বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুর উপর আঘাত এনেছিল, লুটপাট চালিয়েছিল। দেশ থেকে আমাদেরকে বিতাড়িত করার জন্য নানা অপকর্ম করেছিল। তাদের মূল শক্তি ছিল সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা।