চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠে আসে বিগত আরো তিন ছাত্রীর যৌন হয়রানির অমিমাংসীত ঘটনা। তবে ১৭ জুলাইয়ের আগের তিন ঘটনায় আলাদা আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে চবি প্রশাসন।
চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রে জমা থাকা তিন অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছেন তারা। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে দুই ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় প্রায় ১০ মাস পর অভিযুক্ত চার শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক এ টি এম রফিকুল হককে লিখিতভাবে সতর্ক করা হয়েছে। তাকে শ্রেণিকক্ষে শব্দচয়ন ঠিক করা ও অশোভন আচরণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। অন্যথায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। আর দেশনেত্রী খালেদা জিয়া হলের এক ছাত্রীকে হেনস্তা করার ঘটনায় রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রকে ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড না করার অঙ্গীকারে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ওই ১৯ সেপ্টেম্বর হেনস্তার শিকার দুই ছাত্রীর একজন বলেন, হেনস্তার শিকার হওয়ার পর দফায় দফায় তাদের দু’জনের সাক্ষাৎকার নেয় যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের অভিযোগ কমিটি। এরপর আর কিছু জানানো হয়নি।
ছাত্রী আক্ষেপ করে আরো বলেন, ঘটনার বিচার না করে প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া উল্টো গণমাধ্যমে তাদের নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। প্রক্টর গণমাধ্যমে বলেন, ঘটনার পর তারা (দুই ছাত্রী) অভিযুক্ত চারজনকে মাফ করে দিয়েছেন। আদতে এ ধরনের কিছু হয়নি। তাঁরা কাউকে মাফ করেননি।
তবে এ বিষয়ে রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগ কমিটির এক সদস্য মাফ করে দেওয়ার বিষয়টি তাকে জানিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি গণমাধ্যমে এ কথা বলেন।