বিচার পেলেন আগে হেনস্তার শিকার চবির দুই ছাত্রীও

যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদ
যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদ  © সংগৃহীত

জানা গেছে, ক্যাম্পাসে দুই ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় বহিষ্কার হওয়া চারজনই ছাত্রলীগের কর্মী। তারা হলেন আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জুনায়েদ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুবেল হাসান, দর্শন বিভাগের একই বর্ষের ইমন আহাম্মেদ এবং আর এইচ রাজু। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হকের অনুসারী।

উল্লেখ্য, ১৭ জুলাই রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পাঁচ তরুণের হাতে এক ছাত্রী যৌন নিপীড়ন ও মারধরের শিকার হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় পাঁচ তরুণ ওই ছাত্রীকে বেঁধে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয়। পরে মুঠোফোন ও মানিব্যাগ রেখে দুজনকে ছেড়ে দেন ওই তরুণেরা। এ ঘটনার দুই দিন পর গত মঙ্গলবার প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। এক দিন পর গত বুধবার ওই ছাত্রী হাটহাজারী থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

এর মধ্যে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের রাতে হলে ফেরার সময়সীমা বেঁধে দিলে নতুন করে ক্ষোভ দেখা দেয়। ১৭ জুলাই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে করা মামলায় শুক্রবার (২২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রসহ চারজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ওই ছাত্রীর মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। পরদিন শনিবার (২৩ জুলাই) আটক হন আরেকজন। গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে দুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ