জন্মের আগেই বঙ্গবন্ধুর বিয়ে, ছাত্রলীগ নেতার ‘তালগোল পাকানো’ বক্তব্য ভাইরাল

ভুলে ‘১৯১৮ সালে বঙ্গবন্ধুর বিয়ের’ কথা বলেছেন জাবি ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান লিটন
ভুলে ‘১৯১৮ সালে বঙ্গবন্ধুর বিয়ের’ কথা বলেছেন জাবি ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান লিটন  © ভাইরাল ভিডিও থেকে সংগৃহীত

‘‘বঙ্গবন্ধু ১৯১৮ সালে জনাবা ফজিলাতুন্নেছার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন’’। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন এমনটাই শোনা যাচ্ছে। তার দেয়া এমন বক্তব্য ঘিরে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এমন বক্তব্য দেন লিটন।

সেখানে তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘আবার কিন্তু শিক্ষাজীবন করে তিনি ১৯২৮ সালে, স্যরি ১৯২৮ সালে... ১৯১৮ সালে তিনি জনাবা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন।’’

আরও পড়ুন: দশ বছরে ১১ জাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

এসময় পাশে থাকা নেতা-কর্মীদের কেউ বলেন ১৮ বছর বয়সে কেউ বলেন ১৯৩৮ সালে। এরপর তিনি আবার বলতে থাকেন, ‘‘তিনি হচ্ছে ১৮ বছর বয়সে ২০০৮... ১৯১৮ সালে জনাবা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর ক্রমাগত শিক্ষাজীবন চালিয়ে যান।’’

লিটনের এ বক্তব্য নিয়ে ব্যবহারকারীদের মাঝে ব্যাপক সমালোচনা দেখা গেছে। আজহার মাহমুদ নামে একজন ব্যবহারকারী অনেকটা অবাক হয়ে এ বিষয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘যে মানুষটা ১৯২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন; তিনি কীভাবে ১৯১৮ সালে বিবাহ করেন!’’

জিকে সাদিক নামে ইসলামী বিশ্বদ্যিালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, একজন ছাত্র নেতা হয়ে নিজ দলের আদর্শ ব্যক্তিত্বের সম্পর্কে যথাযথ ধারণা না থাকা দুঃখজনক। ‘মেধাবীরা ছাত্র রাজনীতিতে আগ্রহী না’ এই প্রচলিত কথাটিই প্রমাণিত হয়েছে।

এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান লিটন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ওইদিন বক্তব্য দেওয়ার সময় পেছন থেকে অনেক আওয়াজ আসছিলো; তখন আমি ভুল বলে ফেলেছি। পেছন থেকে একেকজন ভিন্ন ভিন্ন তারিখ বলছিলো। এতে আমার কনসেন্ট্রেশন ব্রেক হয়েছিলো।’’

অবশ্য পরে তিনি তার দেয়ার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশও করেছেন। তিনি বলেন, ১৭ মার্চের বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সামনের দিনগুলোতে চেষ্টা করব এরকম ভুল যেনো আর না হয়।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। তার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, শেখ মুজিবের বয়স যখন ১৩ ও বেগম ফজিলাতুন্নেসার বয়স যখন মাত্র ৩, তখন পরিবারের বড়রা তাদের বিয়ে ঠিক করেন। ১৯৩৮ সালে বিয়ে হওয়ার সময় রেনুর বয়স ছিল ৮ বছর ও শেখ মুজিবের ১৮ বছর। পরে এই দম্পতির দুই কন্যা ও তিন ছেলে হয়। তারা হলেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল।


সর্বশেষ সংবাদ