সড়ক দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছিল হিমেলের বাবা-দাদির

মাহমুদ হাবিব হিমেল
মাহমুদ হাবিব হিমেল  © সংগৃহীত

বাবা ও দাদির পর সড়ক দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাবিব হিমেলের। ক্যাম্পাসে গত মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। তার আগে ২০১৯ সালে হিমেলের দাদি আমেনা বেওয়া বাস চাপায় মারা যান। আর ২০১৫ সালে হিমেলের বাবা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। পরে ২০১৬ সালে দুর্ঘটনা পরবর্তী জটিলতায় কিডনি নষ্ট হয়ে মারা যান তিনি। 

হিমেলের মামা মো. মুন্না বলেন, হিমেলের বাবা আহসান হাবিব হেলাল ২০১৫ সালে হিমেলের মাকে সঙ্গে নিয়ে বগুড়ার শেরপুর থেকে নাটোরে আসার পথে শেরকুলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। ওই দুর্ঘটনায় হিমেলের মা মনিরা গুরুতর জখম হন। তিনদিন জ্ঞান ছিলো না তার। মাথায় ৩৩টি শেলাই পড়ে। তবে তিনি সুস্থ্য হন।

“কিন্তু হিমেলের বাবা এরপর নানা রোগে আক্রান্ত হতে থাকেন। এর এক বছর পর ২০১৬ সালে কিডনি নষ্ট হয়ে মারা যান আহসান হাবিব হেলাল। ২০১৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান হিমেলের দাদি আমেনা বেওয়া। সেসময় হিমেলের চাচাতো বোনকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। একটি বাস তাদেরকে চাপা দিলে লাগলে হিমেলের দাদি নিজের জীবন দিয়ে নাতিকে বাঁচান। আর মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাক চাপায় মারা যান হিমেল।”

তিনি আরও বলেন, হিমেলের মৃত্যুর পর তার মা মনিরা আক্তার বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। আমরা তাকে নানাভাবে কথা বলে সান্তনা দিয়ে রাখছি। সন্তানের কথা ভুলে রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু তার তো আর কেউ রইল না। তার মৃত্যুর খবরে তার নানিও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

হিমেলের মামা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা একটি পরিবারের সবাইকে শেষ করে দিলো। হিমেলের বাবার মৃত্যুর পর থেকে তার মা মানসিকভাবে অসুস্থ। এখন সন্তান হারানোর শোক সইবে কীভাবে? বড় শখ ছিলো ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে ভাল চাকরি করবে। সুখ ফিরে আসবে। কিন্তু সন্তানই হারিয়ে গেলো।


সর্বশেষ সংবাদ