জাবির আবাসিক হলে ফ্রি ইন্টারনেটসহ তিন দাবিতে সমাবেশ-স্মারকলিপি
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৫:৩৭ PM , আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৫:৫৫ PM
আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবাসহ ৩ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান ও সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা। আজ সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজের কাছে এ স্মারকলিপি পেশ করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ।
৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদান, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবীমা ও স্বাস্থ্য কার্ড নিশ্চিত করা এবং হলের ডাইনিং-ক্যান্টিনের খাবারের মূল্য হ্রাস করে মান বৃদ্ধি করা।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে রহিমা কানিজ বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবার বিষয়টি হল স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ দেখবে। বাকি বিষয়গুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।
সমাবেশে অংশ নিয়ে সংগঠনের সদস্য সুমাইয়া ফেরদৌস বলেন, করোনার পর যখন সবাই একধরণের সংকটে ভুগছে তখন হল প্রশাসন ডাইনিং-ক্যান্টিনে খাবারের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু খাবারের মানোন্নয়নে তাদের কোনো উদ্যোগ নাই। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডাইনিং-ক্যান্টিনে খাবারের মান বৃদ্ধি করে মূল্য হ্রাসের দাবি জানাচ্ছি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এখন হাইব্রিড মোডে (অফলাইনে ও অনসাইটে) চলমান। অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য সাধারন শিক্ষার্থীদের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছে চড়া দামে ইন্টারনেট কিনতে হচ্ছে, নিম্নমানের ইন্টারনেট সেবার কারণে অনলাইন ক্লাসে ঠিকমত অংশগ্রহণ করতে পারছে না। স্থানীয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো এক ধরণের সিন্ডিকেট তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে হলগুলোতে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ রিসার্চ এন্ড নেটওয়ার্ক (বিডিরেন) ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) কর্তৃক ক্যাম্পাসে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা চালু আছে। এই সেবা বিশ্ববিদ্যালয়ের দপ্তরগুলোতে, বিভাগে ও শিক্ষকদের কোয়ার্টারে চলমান রয়েছে। তাহলে শিক্ষার্থীদের জন্য কেন বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হবে না বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি?
সংগঠনের সদস্য কনোজ কান্তি রায় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে আমাদের বাক্স নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবীমা রয়েছে সেখানে জাবির একজন শিক্ষার্থীর জন্য এভাবে ঘুরতে হবে? আমরা আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দাবি মেনে নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবীমা চালু করবে।