চবিতে সাংবাদিককে হুমকি: তদন্ত প্রতিবেদনে প্রশাসন
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:৩৬ PM , আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:০২ PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাংবাদিক সমিতির সদস্য ইফতেখায়রুল ইসলামকে ৭ ডিসেম্বর অশালীন ব্যবহার ও হুমকি নিয়ে আজ বুধবার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চবি প্রশাসন। জানা যায়, সময় নিউজ অনলাইনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী (আইডি: ২০১০৭১৩৪) কে মোবাইল ফোনে প্রক্টর পরিচয়ে গালিগালাজ ও দেখে নেয়ার হুমকি দেন। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের মাধ্যমে উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতারের কাছে অভিযোগপত্র দেওয়া হয় সাংবাদিক সমিতি থেকে।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার বর্তমান প্রেমিককে অপহরণ করলেন চবি শিক্ষার্থী
সংঘর্ষ ও বিশৃঙ্খলায় জড়িত থাকার দায়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত তিন কর্মীকে ক্যাম্পাসে অবস্থান না করার নির্দেশনা দেয় চবি প্রশাসন। তবে, হল ও ক্যাম্পাসে অবস্থান করার পাশাপাশি তারা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে বলে জানা যায়।
৬ মাসের জন্য বহিষ্কৃত হলেও পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়ে খোঁজ নিতে সোমবার আরবি বিভাগের সভাপতি মুহাম্মাদ শাযআত উল্লাহ ফারুকীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন ইফতেখায়রুল ইসলাম। ফলশ্রুতিতে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার ৭ ডিসেম্বর বেলা ১২ টার দিকে একটি ফোন কলের মাধ্যমে অপর প্রান্ত থেকে এই হুমকি দেয়া হয়। পরে আরেক ফোন কলে সে আরবি বিভাগের (১৯-২০) শিক্ষাবর্ষের তৌহিদ ইসলাম বলে নিজেকে পরিচয় দেয়৷
আরও পড়ুন: ঢাবিতে চান্স হলেও যে ভুলে চবিতে চান্স হয়নি আমার
ফোন কলে তৌহিদুল বলেন, আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, প্রক্টর বলছি। আপনি কি নারায়ণগঞ্জের কেরানিগঞ্জের মোল্লাপাড়া মার্কেটে আছেন না? গতকাল আরবি বিভাগে সভাপতি আমাকে ফোন দিয়েছে আমি উনার থেকে আপনার নাস্বার নিয়েছি৷ আপনি জানতে চেয়েছে আরবি বিভাগের ওই ছেলে (তৌহিদ) পরীক্ষা দিয়েছে কি না।
এসময় প্রক্টর পরিচয় দেওয়া ওই ব্যাক্তির পরিচয় জিজ্ঞেস করলে, তিনে জোর গলায় দাবি করেন 'আমি প্রক্টর'। পরে সে আরবি বিভাগের সভাপতিকে কেন ফোন দেওয়া হয়েছে এই বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতিবেদককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, দেখে নেওয়া এবং খুঁজে বের করার হুমকি দেয়।
আরও পড়ুন: সেই ৮০ শিক্ষার্থী চবিতে ভর্তি হতে পারবে না
এ ঘটনায় গঠিন তদন্ত কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়। প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।