জুয়েল হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

  © টিডিসি ফটো

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের একটি মসজিদে কুরআন অবমাননার জেরে সহীদুন্নবী জুয়েলেকে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের (ইশা) উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক অপরাধীদের দ্রুত বিচার আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

জানা যায়, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে একটি মিছিল টিএসসির রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ কর্মসূচিতে সংগঠনটির শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে পাটগ্রামের বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আসর নামাজের পর মসজিদে কুরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে জুয়েলেকে পিটিয়ে হত্যা করে স্থানীয়রা। পরে মরদেহ আগুনে পোড়ানো হয়।

জুয়েল রংপুর শহরের শালবন রোকেয়া সরণি এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক ছিলেন। তার বড় মেয়ে জেবা তাসনিম এবার এইসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। ছেলে তাশিকুল ইসলাম ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

জানা যায়, জুয়েল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞানে অনার্স ও মার্স্টাস ডিগ্রি অর্জন করে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে গ্রন্থাগারিক হিসেবে যোগদান করেন। এদিকে, ২০১৬ সালে কলেজ থেকে চাকরি চলে যাওয়ায় তার একমাত্র উপার্জনপথ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর মানসিকভাবে অনেকটা ভেঙে পড়েছিলেন। ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খেতেন নিয়মিত। ষড়যন্ত্রে চাকরিটা চলে গেছে দাবি করে তারা জানান, এরপর জুয়েল অনেকটা ভেঙে পড়েছিল। ফলে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে ধর্মের দিকে মনোনিবেশ করেছিল।


সর্বশেষ সংবাদ