সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অভিযান, ১৩ শিক্ষার্থীসহ আটক ২১

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অভিযান, ১৩ শিক্ষার্থীসহ আটক ২১
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অভিযান, ১৩ শিক্ষার্থীসহ আটক ২১  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে ১৩ শিক্ষার্থীসহ ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ক্যাম্পাস সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও শাহবাগ থানা পুলিশের সূত্রে জানা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী নেশা করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাতাল অবস্থায় ২১ জনকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছে গাঁজা ও ফেনসিডিল পাওয়া যায়। তাদের মোবাইলগুলো ‘সিজ’ করা হয়।

আটককৃতদের মধ্যে ১৩ জন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আর বাকি ৮ জন চাকরিজীবী রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাবির বর্তমান ৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানা গেছে। তাছাড়া একজন সাবেক শিক্ষার্থী, বর্তমানে তিনি একটি ব্যাংকে কর্মরত রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২ জন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২ জন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ১ জন এবং ঢাকা কলেজের ১ জন রয়েছে। এছাড়াও অপর একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আটককৃত মধ্যে চাকরিজীবীদের বয়স ৩০ এর মধ্যে এবং ছাত্রদের বয়স ১৯ থেকে ২৫ এর মধ্যে। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি সেখানে মাদকাসক্তদের কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী যুক্ত থাকায় পুলিশ আমাদের সহযোগিতা চায়। পরে যৌথ অভিযানে ২১ জনকে আটক করা হয়। তাদেরকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তারা অন্য কোনো কাজে জড়িত কিনা পুলিশ তার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ক্যাম্পাসে মাদক সরবরাহকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি, অচিরেই আমরা ক্যাম্পাসে মাদকের মূলোৎপাটন করবো। এর মাধ্যমে মাদকমুক্ত ঢাবি গড়ে তোলা সম্ভব হবে। আর পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকলে পর্যায়ক্রমে মাদকমুক্ত ঢাকা এবং মাদকমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব হবে। এজন্য আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে উল্লেখ অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, অভিভাবকরা যেন তাদের সন্তানরা কোথায় কি করেন তার খোঁজ রাখেন। তাদের কাউন্সিলিং করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদকাসক্তদের কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এ ব্যাপারে কথা বলতে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদকে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।


সর্বশেষ সংবাদ