সর্বসাধারণের জন্য টিএসসিতে রাখা হয়েছে ‘ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি’

ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি
ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি  © টিডিসি

সর্বসাধারণের দেখার সুবিধার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পায়রা চত্বরে রাখা হয়েছে এবারের আনন্দ শোভাযাত্রার মূল আকর্ষণ ‘ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি’। একই সঙ্গে ৩২ জুলাই লেখাসংবলিত মোটিফও এর পাশে স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ মীর মুগ্ধের স্মরণে তৈরি করা পানির বোতলের অবয়ব ডাকসু ও মধুর ক্যান্টিনের মাঝামাঝি রাস্তার পাশের রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল বেলায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ শিল্পকর্মগুলো রাখা হয়।   

বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার পরিবর্তে টিএসসির মতো এলাকায় এমন মোটিফ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে দলের নেতাকর্মীরা বলেন, সর্বসাধারণের দেখার সুবিধার্থেই ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি টিএসসিতে রাখা হয়েছে। যারা বিভিন্ন কারণে আনন্দ শোভাযাত্রায় উপস্থিত হতে পারেননি তারা যেন এই ঐতিহাসিক মুখাকৃতির সাক্ষী হয়ে থাকতে পারেন, যে জন্যই রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ১৭১ জন নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন

এ বিষয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, “আনন্দ শোভাযাত্রাটাই মূলত শুরু হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষের সৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদি যাত্রা হিসেবে। আমরা দেখেছি নব্বইয়ের দশকে নতুন বছরকে অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ যাত্রা দিয়ে শুরু করে। কিন্তু আমরা  দেখেছি ’৯৬-এর পরবর্তি সময়ে যারা কিনা সৈরাচার তারাই এটাকে কুক্ষিগত করে রাখার প্রবণতা এখানে দেখা যায়। কিন্তু নতুন বাংলাদেশে সেই আগের নামে প্রতিবাদ যাত্রাটা শুরু হয়। এবারের স্লোগান ছিল ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এই থিমের আলোকে যে সদ্য পদচ্যুত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মোটিফটা রাখা হয়।’

আরও পড়ুন: ৬ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

তিনি আরও বলেন, ‘আনন্দ শোভাযাত্র শেষে বছরের প্রথম দিন থেকেই মানুষ তাদের প্রতিবাদ জারি রেখেছে। আর এই প্রতিবাদ যদি মানুষের কাছে দৃশ্যমান হয়, তারা যখন দেখে যে আসল ফ্যাসিস্ট কে? অন্যায় অনিয়ম যারা করে গেছেন তাদের যেন জনগণ সামনে থেকে দেখে। সে জায়গা থেকে আমরা ফ্যাসিস্টের মোটিফটা জনসম্মুখে নিয়ে আসার জন্য গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের পক্ষ থেকে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আবেদন জানাই। আমরা জানাই এটাকে চারুকলায় না রেখে আপনারা জনসম্মুখে নিয়ে আসেন। জনগণ ফ্যাসিস্টকে দেখুক। সে বিগত দিনে যে কালচারাল ফ্যাসিজম তৈরি করে গেছে, যখন জনগণ তার মোটিফ সামনে থেকে দেখবে, তখন জনগণের চিন্তায় এ চেতনা জাগ্রত হবে, আমাদের এই ফ্যাসিজম রুখে দিতে হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ