ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণবিয়ে’ আয়োজনে নেই অনুমতি

গণবিয়ের আমন্ত্রণপত্র
গণবিয়ের আমন্ত্রণপত্র  © সংগৃহীত

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ‘গণবিয়ে’র আয়োজন করা হচ্ছে বলে একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। এরপর বিষয়টি নিয়ে সরব হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ক্যাম্পাসে এই ধরনের আয়োজনের কোনো অনুমতি নেই বলে সাফ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই বক্তব্য হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফারুক শাহেরও।

এ বিষয়ে আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, এ ধরনের গণবিয়ের আয়োজন বা এরকম কিছু একটা হতে যাচ্ছে সেটার আনুষ্ঠানিক কোনো অনুমতি আমাদের কাছে কেউ চাইতে আসেনি কিংবা আলোচনাও করতে আসেনি। তাই এ বিষয়টি নিয়ে কোনো সম্পৃক্ততা আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকেই নেই।

অধ্যাপক ড. ফারুক শাহ বলেন, আমিও মিডিয়ার কল্যাণে কয়েকদিন আগে বিষয়টি প্রথমে জানতে পারি। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমাদের এক শিক্ষার্থী তাদের প্ল্যাটফর্মে তার মতামত ব্যক্ত করেছেন এবং এ ধরনের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে। পরবর্তীতে যখন এটা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কথা হচ্ছে, তখন হলের শৃঙ্খলা কমিটির (শিক্ষার্থীদেরসহ নিয়ে) সভায় এটা নিয়ে কথা বলেছি। এরপর সিদ্ধান্ত  নিয়েছি যে, আমরা এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড অনুমতি দেব না। তাছাড়া এটা একটা আসাবিক হল তাই এখানে এ ধরনের কর্মকাণ্ড অনুমতি দেওয়ার নিয়ম নেই।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে কি শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই ‘নোটেবল অ্যালামনাই’?

“তবে যেসব শিক্ষার্থী এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, সেটি তাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। তারা ব্যক্তিগতভাবে যদি গণবিয়ে কোথাও করে সেটিও তাদের একান্ত ব্যাপার। কিন্তু প্রশাসনিক জায়গা থেকে এটি নিয়ে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই এবং আয়োজনের সুযোগও নেই।”

এদিকে একইদিনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে গণবিবাহ সংক্রান্ত একটি খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও কিছু গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ধরনের গণবিবাহের আয়োজনের কোনো অনুমোদন কর্তৃপক্ষ কাউকে প্রদান করেনি বা কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করেননি। 

“বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত রীতিনীতি এবং বর্তমান সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা থাকার সুযোগ নেই। যে বা যেসব শিক্ষার্থী এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগ। সর্বোপরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিদ্যায়তনিক প্রতিষ্ঠান এবং বিদ্যাচর্চা করার স্থান। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো পর্যায়ে এ ধরনের আয়োজন, অভ্যর্থনা বা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।”

এর আগে সম্প্রতি আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ‘স্বাধীনতা ভোজ’ উপলক্ষ্যে এই ‘গণবিয়ে’র কার্যক্রম শুরু হবে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দেন জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আল আমিন সরকার। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে হই চই শুরু হয়।


সর্বশেষ সংবাদ