ঢাবির হলে শিক্ষার্থীদের শতভাগ সিট নিশ্চিত করাসহ ৬ দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম, হলের দখরদারত্ব, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া হলে শতভাগ সিট নিশ্চিত করাসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তারা এসব দাবি জানান।

বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বছরের পর বছর দখল ছিল। বছরের পর বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। মাথা গোঁজার ঠাঁইকে পুঁজি করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর জুলুম-অত্যাচার করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রটোকল ও বাধ্যতামূলক প্রোগ্রামের নামে মধুর ক্যানটিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। এতে ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন না সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে সারা রাত টহল দিতে বাধ্য করা এবং শীতের রাতেও হলের বাইরে পাঠানো হয়। এতে তারা চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে যায়।

এত কিছুর পরও ঠিকমতো ঘুমানোর জায়গাটুকু পাচ্ছেন না সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ট্রাংক, বারান্দা, ছাদ, মসজিদসহ বসবাসের অনুপযোগী জায়গা খুঁজে নিতে হয় তাদের।

অতীতে আমরা দেখতে পেয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষার্থী আবু বকর, হাফিজুর মোল্লা নিহত হয়েছেন এবং এহসান রফিকসহ অগ্রজ অনেক শিক্ষার্থী নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন রাজনৈতিক দখরদার নেতাদের হাতে। দ্রুত এসব বন্ধে উদ্যোগ নিতে হবে।

আমরা শিক্ষার মানোন্নয়ন ও গবেষণাকে অগ্রসর করতে আবাসন সংকট নিরসন করাকে খুবই প্রাসঙ্গিক মনে করছি। এ জন্য হলে শতভাগ সিট নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়দের সংখ্যার অনুপাতে ছেলেদের সিটের বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। ফলে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও অনেকে সিট পায় না। তাই হলসংখ্যা বাড়িয়ে সিট সংকট নিরসন করলে যথাযথ প্রক্রিয়া হবে বলে আমরা মনে করি।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে শতভাগ আবাসিক করতে হবে।
২. প্রথম বর্ষের প্রথম দিন থেকেই হলে সিট দিতে হবে।
৩. মেয়েদের হল্য সংখ্যা বাড়াতে হবে।
৪. নতুন হল নির্মাণের আগে যাদের আবাসন সমস্যা ছিল, ক্লাস শুরুর আগে তাদের আবাসন সমস্যা সাত দিনের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।
৫. হলগুলো সংস্কার করতে হবে (বিল্ডিংগুলো নিরাপদ কিনা পরীক্ষা করা, খাবারের মানোন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি, লন্ড্রি সেবা, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটাইজেশন, অবকাঠামোগত সংস্কার, প্রশাসন কর্তৃক তদারকি ইত্যাদি)
৬. মেয়েদের হলের আশপাশে নিরপাদ পরিবেশ তৈরি করা।


সর্বশেষ সংবাদ