ঈদের পর চবি শাটলে যুক্ত হচ্ছে ‘পাওয়ার কার’
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ১০:৫৯ PM , আপডেট: ২৪ মে ২০২৪, ০৮:৫৮ AM
চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নয়নাভিরাম দেশের সর্ববৃহৎ ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। এখানকার শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান বাহন বিশ্ববিদ্যালয়টির ঐতিহ্যের শাটল ট্রেন। প্রায় ১০-১৫ হাজার শিক্ষার্থী নিয়মিত যাতায়াত করেন শাটলে। বর্তমানে দুটি ট্রেন মোট ১৪ বার শহর-ক্যাম্পাস-শহর আসা যাওয়া করে। প্রতিটি ট্রেনে দশটি করে বগি আছে। বিশ্বের একমাত্র শাটল ট্রেনের ক্যাম্পাস হিসেবে এটি যেমন গৌরবের তেমনি ভোগান্তিরও শেষ নেই।
বিশেষ করে গরমের সময় শাটলে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থীরা। তীব্র গরমে অজ্ঞান হয়ে যান অনেকেই। এ শাটল ট্রেন নিয়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলন, দাবি জানালেও তেমন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে এবার শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে শাটলে ‘পাওয়ার কার’ লাগানোর কথা জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ‘পাওয়ার কারের’ বিষয়টি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঈদের পরপরই শাটল ট্রেনে পাওয়ার যুক্ত করার কথা।
প্রক্টর অহিদুল আলম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমরা শাটল ট্রেনে পাওয়ার কার যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আসলে তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমরা গত সপ্তাহে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদেরকে আপাতত একটি ট্রেনে 'পাওয়ার কার' যুক্ত করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। আশা করছি এক-দুই মাসের মধ্যেই এটি হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, অন্য একটি ট্রেন থেকে নিয়ে এসে এটি যুক্ত করতে হবে। আর এখানে নিরাপত্তারও একটি বিষয় আছে। আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করেছি যে আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। আশা করছি ঈদের পর পরই এটি যুক্ত হবে।
শিক্ষার্থীর তুলনায় শাটল সংখ্যা অপ্রতুল। এর মধ্যে তিন জোড়া শাটল ও দুই জোড়া ডেমু বন্ধ থাকায় ভোগান্তির মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। শাটলে সিট খালি তো দূরের কথা দাঁড়ানোর মতো জায়গাও থাকে না অনেকসময়। বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে শাটলের ছাদে উঠ অনেকে। এতে করে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির মুখে গত ৫ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাটল ট্রেনে পাওয়ার যুক্ত করার জন্য একটি আবেদন করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট। এরপর পরই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক সাড়া দেয়।