ভারতে বেস্ট মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড পেলেন চবির তিন শিক্ষার্থী

অ্যাওয়ার্ড নিচ্ছেন চবির তিন শিক্ষার্থী
অ্যাওয়ার্ড নিচ্ছেন চবির তিন শিক্ষার্থী   © টিডিসি ফটো

ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত  'ড. টিএমএ পাই ইন্টারন্যাশনাল টেকনোলজি আরবিট্রেসন মুট ২০২৪' প্রতিযোগিতায় ‘বেস্ট মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড’ জয়ী হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন বিভাগ। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) আইন বিভাগের পক্ষে অংশ নিয়ে পুরস্কার জিতে নেন বিভাগটির তিন শিক্ষার্থী ইসমিতা আজীম, ইতমিনান মনির বাসিলিস ও মনিরুল ইসলাম হৃদয়।

গত ৩১ মার্চ মানিপাল ল’ স্কুল আয়োজিত প্রথমবারের মতো প্রযুক্তির সংযুক্তি ও আন্তর্জাতিক সালিশ আইন বিষয়ক দুই দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতাটির ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। ভারত, শ্রীলংকা, কেনিয়া, নেপাল ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৬টি টিমের মধ্য থেকে ২০ হাজার রূপি পুরস্কার মূল্যের ‘বেস্ট মেমোরিয়াল এওয়ার্ড’ অর্জন করেন চবি শিক্ষার্থীরা। 

প্রতিযোগিতাটি দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম ধাপে ক্লাইমেট মেমোরিয়ালের উপর রিটেন সাবমিট করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে চূড়ান্ত পর্বে জায়গায় করে নেয় তারা। পরে ৩০-৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়া চূড়ান্ত পর্বে বিশ্বের ১৫টি দেশের ৪৫ জন প্রতিযোগীকে হারিয়ে ‘বেস্ট মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড’ বিজয়ী হন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা।

55bed297-84bd-484a-8536-70ab8029e86b

এ বিষয়ে ইসমিতা আজীম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এই প্রতিযোগিতা আমাদের জন্য সহজ ছিল না। গত ৩ মাস আমাদের মেমোরিয়াল তৈরির পেছনে সময় দিতে হয়েছে। দিনে ১২ থেকে ১৪ঘণ্টা সময় দিতে হয়েছে। নিজেদের সোশ্যাল লাইফ থেকে বিরত রাখতে হয়েছে। যখন আমরা এই অ্যাওয়ার্ড পাই তখন মনে হয়েছে এই কষ্ট সার্থক। 

তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগকে বিশ্ব দরবারে প্রেজেন্ট করার। আমরা খুশি কারণ আমরা তা করতে পেরেছি। আমাদের ডিন, চেয়ারম্যান রাকীবা নবী ম্যাম থেকে শুরু করে সকল শিক্ষকদের আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছি যার জন্য তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ থাকবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চবির আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, আমরা তাদের কৃতিত্বের জন্য আনন্দিত এবং গর্বিত। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ বাংলাদেশের আইন শিক্ষার অন্যতম কেন্দ্র। প্রতিবছর এখান থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী জুডিশিয়ারিরেতে যাচ্ছে, দেশ-বিদেশি বিভিন্ন মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে যদি তাদেরকে ফান্ড দেওয়া হয়, তাহলে এই প্রতিযোগিতাগুলোতে আরও ভালো করতে পারবে তারা।


সর্বশেষ সংবাদ