সাংস্কৃতিক আড্ডায় মেতেছেন রাবির সাংস্কৃতিকর্মীরা
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২২ PM , আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২৪ PM
ঢোল-তবলা ও গিটারের তালে সাংস্কৃতিক আড্ডায় মেতেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাংস্কৃতিকর্মীরা। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা এ আড্ডার আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অমিত কুমার দত্ত, টিএসসিসির পরিচালক ড. আরিফ হায়দার, নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান প্রমুখ।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডগুলো ক্যাম্পাসকে উজ্জীবিত রাখে। তাই সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক চর্চায় ক্রিয়াশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাশে থাকবে।
সহ-পাঠ্যক্রমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উজ্জীবিত রাখতে নিয়মিত এমন আড্ডার আয়োজন করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাংস্কৃতিক কর্মীরা। এছাড়াও নিয়মিত এসব সংগঠনে গান, নৃত্য, নাটক ও আবৃত্তির চর্চা করা হয়।
এদের মধ্যে আছে আবৃত্তি, গান ও নাটকের সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ও অ্যাসোসিয়েশন অব কালচারাল অ্যান্ড এডুকেশন (এস্)। নাটকের সংগঠন অনুশীলন, সমকাল, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ড্রামা অ্যাসোসিয়েশন (রুডা) ও বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার, রাজশাহী (বিথীরা)। গানের সংগঠন অরণী ও বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা এবং আবৃত্তির সংগঠন স্বনন।
অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক রায়হান ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। প্রত্যেক সংগঠনেই নিয়মিত সাংস্কৃতিক চর্চা হয়। ফলে একজন শিক্ষার্থী সাংস্কৃতিক কর্মী হওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলি ও সুষ্ঠু চিন্তা বিকাশের সুযোগ পায়।