মুহসীন হলের প্রত্যেকটি ফ্লোর যেন মৃত্যুফাঁদ, পুনর্নির্মাণের দাবি
ঢাবি ভিসিকে স্মারকলিপি
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:১৩ PM , আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:২৮ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলটি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় উপাচার্যের নিকট পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। আজ রবিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে আবাসিক হলের শতাধিক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সংবলিত একটি স্মারকলিপি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নিকট জমা দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, আমাদের হলটি ১৯৬৭ সালে নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে পুরাতন এই ভবনে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী আবাসিকভাবে অবস্থানরত। কিন্তু ৬ তলা এই ভবনের প্রত্যেকটি ফ্লোর যেন মৃত্যুফাঁদ। প্রায় প্রতিটি রুমের পলেস্তারা ধসে পড়ছে। দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। এটা নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছে, প্রথম সারির বিভিন্ন পত্রিকা ও মিডিয়ায় নিউজ হয়েছে কিন্তু প্রশাসন থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা মৃত্যুঝুঁকিতে আছে এবং আশঙ্কায় দিনযাপন করছে। গত ২ ডিসেম্বর ভূমিকম্পে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে হল থেকে নামতে গিয়ে গুরুতর আহত ও জখম হয়। ভবনের বিভিন্ন স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমতাবস্থায় হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের ৬ তলা ভবনটি পরিপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করে পুনর্নির্মাণ একান্ত জরুরি।
জানা যায়, সম্প্রতি সময়ে ভূমিকম্পে এ হলের বহু কক্ষে ভঙ্গুর পলেস্তারা খসে পরে এবং রিডিংরুমের দরজার ফ্রেম ভেঙে পরে। তাই পাকিস্তান আমলে তৈরি এ হলের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে বলে শিক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ সময় মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সোহরাব হোসেন বলেন, আমাদের হলের অনেক রুমেই পলেস্তারা খসে পড়েছে। প্রায়ই এমন ঘটনা দেখা যায়। কিছু কিছু রুমে ১০ কেজি ওজনের পলেস্তারাও খসে পড়েছে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আমরা ভিসি স্যারের কাছে হল পুনরায় নির্মাণের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি এবং সেইসাথে ১০০ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর ও বিভিন্ন ভঙ্গুর অবস্থার চিত্র সংযুক্ত করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ইঞ্জিনিয়ার এর পর্যবেক্ষণ এর মাধ্যমে যাচাই করা হবে এ হলটি কতটা বসবাস উপযোগী। যদি উপযোগী না হয় এই বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে।