হরতালের মধ্যেই ঢাবির বিশেষ সমাবর্তন আজ, আসছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রস্তুত সমাবর্তনের মঞ্চ
প্রস্তুত সমাবর্তনের মঞ্চ  © লোগো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিশেষ সমাবর্তন আজ রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এদিন সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল থাকলেও স্বাভাবিকভাবে এ সমাবর্তন হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

প্রায় ১৯ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ এ সমাবর্তন। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ডক্টর অব লজ (মরণোত্তর) ডিগ্রি প্রদান করা হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের অনুমতিক্রমে সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।  

আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ইতিমধ্যে সমাবর্তনের প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সমাবেশ স্থল থেকে শুরু করে চিঠি বিতরণসহ সকল প্রকার প্রস্তুতিই প্রায় শেষ হয়েছে।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, যথাসময়ে সমাবর্তন হবে। আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আমাদের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এখনো কিছু কিছু কাজ চলছে। শিক্ষার্থীদের জন্য যানবাহনও চালু থাকবে।

তিনি আরও বলেন, যারা এখনো কার্ড নিতে পারেনি তারা রোববার সকাল ৮-৯ টার মধ্যে অফিস থেকে কার্ড নিতে পারবে। সমাবর্তনে সকল মানুষই আমাদেরকে সব ধরণের সহযোহিতা করে থাকে। এবার আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

আরো পড়ুন: হরতালের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত

সমাবর্তনের আয়োজন ঠিকঠাক হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহন চলবে কিনা সেটা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। জানা যায়, কোনো ধরণের ক্লাস বা পরীক্ষা না থাকায় শুধু মাত্র সমাবর্তনে আসার জন্য শিক্ষার্থী শিক্ষক এবং কর্মচারীদের জন্য সীমিত পরিসরে বাস বা যানবাহন সচল রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাবির পরিবহন ম্যানেজার কামরুল হাসান জানান, হরতাল বিবেচনায় গাড়ি চলবে কিনা সে বিষয়ে আমাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে যেহেতু কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা নাই তাই গণপরিবহন সীমিত করা হয়েছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণপত্র এবং জাতীয় পরিচয়পত্র বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আইডি অথবা পাসপোর্ট সাথে আনতে হবে। সমাবর্তনস্থলে মোবাইল ফোন, হাতব্যাগ, ব্রিফকেস, ক্যামেরা, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ছাতা ও পানির বোতল নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।


সর্বশেষ সংবাদ