সবাই যাবে বিসিএস পরীক্ষার হলে, ঢাবির সাবেক ছাত্র নাঈম যাবে কবরে
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৩, ০৯:১৬ PM , আপডেট: ১৮ মে ২০২৩, ০৯:৪৩ PM
স্ট্রোক করে মারা গেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একাউন্টিং বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. নাঈম হাসান। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকালে পাঁচটার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
এদিকে আগামীকাল শুক্রবার (১৯ মে) ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই শিক্ষার্থীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ নামে ফেসবুকের একটি গ্রুপে এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।
তাছাড়া রাত ৮টার দিকে নাঈমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভাগিনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা’ সূর্য সেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জসীম। আজ রাত ৯টার পর ঢাবির জসীমউদ্দিন হল মাঠে তার নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি জানান।
জানা যায়, নাঈমের বাড়ি মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার মধুখালী গ্রামে। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দিন হলের ৫০৮ নাম্বার কক্ষে। বাবা-মা ও দুই ভাই মিলে চার সদস্যের পরিবার ছিল তার। আজ রাত আটটার দিকে নাঈমের লাশ তার হলে নিয়ে আসা হয়। রাতে জানাজার পরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাবে। আগামীকাল তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
নাঈমের ভাগনে জসীমউদ্দিন বলেন, আমার মামা একদম সুস্থ ছিলেন। উনি একটা ফার্মে সিএ করেন। আজকে বিকালে হঠাৎ করে আমাকে ফোন দেয় যে মাথা ঘুরে পড়ে গেছে। সাথে সাথে আমি আত্নীয়-স্বজনদের খবর দেই। পরে তাকে রাজধানীর শমরিতা হাসপাতাল থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, মামা জসীমউদ্দিন হলের ৫০৮ নাম্বার রুমে থাকতেন। খুব দ্বীনওলা লোক ছিলেন। ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার আগেই হল ছেড়ে দিয়েছিলেন কারণ একদিন বেশি থাকা হলে অনিয়ম হবে, গুনা হবে। কারো সাথে যদি অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু করে থাকলে ক্ষমা করে দিয়েন।
প্রসঙ্গত, ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। দেশের আট বিভাগ ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর এবং ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুলের জন্য মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর করে কাটা যাবে।