ঢাবিতে শুরু হয়েছে প্রথম গবেষণা-প্রকাশনা মেলা

গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা
গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রথমবারের মতো শুরু হল গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে  শনিবার ও আগামীকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে দুই দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (২২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ মেলার উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা এখন বিশ্বমানের। সুতরাং আমরা দেশীয় গবেষণা শিল্পকাজে ব্যবহার করতে পারি। তিনি আরও বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কাজে লাগিয়ে আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ গবেষণা মেলার মাধ্যমে গবেষণার গতি তরান্বিত হবে বলে তিনি মনে করেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ে বিশ্ব রাজনীতি রয়েছে। এর মাধ্যমে বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উচ্চশিক্ষায় একটি বাজার ব্যবস্থাও প্রবর্তিত হয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার ইংরেজি ভাষা-ভাষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চশিক্ষাকে বাণিজ্যিকিকরণ করে এই র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে রাখে। এ বাণিজ্যিকিকরণে প্রভাবিত হয়ে কিছু প্রতিষ্ঠান এসব র‌্যাংকিং প্রকাশ করে।

বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পার্থক্য রয়েছে উল্লেখ করে উপমন্ত্রী বলেন, পাশ্চাত্যের এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অধিক পরিমাণে ফি আদায় করে। যার ফলে আর্থিকভাবে শক্তিশালী এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকে।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নওফেল আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা এখন বিশ্বমানের। সুতরাং আমরা দেশীয় গবেষণা শিল্পকাজে ব্যবহার করতে পারি। আমরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কাজে লাগিয়ে এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ গবেষণা মেলার মাধ্যমে গবেষণার গতি তরান্বিত হবে।

আরও পড়ুন: ঢাবি অ্যালামনাইদের দানশীল মনোভাব জরুরি: শিক্ষা উপমন্ত্রী

সভাপতির বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা সাংস্কৃতির নীতিতে কয়েকটি বিষয় অনুপস্থিত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি আ্যালায়েন্সের সে সম্পর্ক থাকা উচিত। তা আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক-প্রায়ভেট পার্টনারশিপ, কমিউনিটি এনগেজমেন্ট নিশ্চিত করতে হবে।

গবেষণা-প্রকাশনা মেলার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের মেলার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি ইন্ডাস্ট্রি কি চায়, সমাজ কি চায়, এবং এর মাধ্যমে একটি নিড বেজ কারিকুলাম গঠন করা হবে। তিনি আরও বলেন এ ধরনের আয়োজন মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে গবেষণা সাংস্কৃতি তৈরি হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাড়ানোর কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের পরবর্তী টার্গেট হবে বিদেশি শিক্ষার্থী এবং বিদেশি ফ্যাকাল্টি মেম্বরদেরকে যুক্ত করার জন্য কিছু উদ্যোগ নেওয়া।

উপস্থিত উপমন্ত্রীদের সহায়তা চেয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ আছে। কিন্তু ভর্তি হওয়ার দীর্ঘ সূত্রতার ও জটিলতার জন্য তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ জটিলতা ও দীর্ঘ সূত্রতা কাটিয়ে উঠতে শিক্ষামন্ত্রীর নিকট অনুরোধ পত্র দেব। যখনই ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ক্যাম্পাসে আসবে তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ফ্যাকাল্টি মেম্বার আসবে এবং আন্তজার্তিক র‌্যাংকিংয়ের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


সর্বশেষ সংবাদ