ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন
শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে আন্তর্জাতিক মান নেই ৫৮ বিশ্ববিদ্যালয়ে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:০৩ PM , আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:১২ PM
বিশ্বব্যাপী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের নূন্যতম মানদণ্ড ধরা হয় ১:২০। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক থাকতে হবে। তবে দেশের ৫৮টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এই মানদণ্ড বজায় রাখতে পারেনি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক প্রকাশিত ৪৭তম বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সব মিলিয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা রয়েছে ১৫৭টি। এ মধ্যে সরকারি ৫০টি আর বেসরকারি ১০৭টি। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৪৬টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত প্রকাশ করা হয়েছে। এরমধ্যে জাতীয়, উন্মুক ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতের আন্তর্জাতিক মান নেই ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আরও পড়ুন: জিপিএ-৫ এর তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা অর্ধেকেরও কম
অন্যদিকে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৭টি হলেও বর্তমানে ৯৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে পারেনি ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ৯৯ জন। বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষক রয়েছেন ১৮৬ জন। বিশ্ববিদ্যালটিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৫৪।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের পেছনে সবচেয়ে কম ব্যয় করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ হাজার ১৫৯ জন। বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ২৬২ জন। ফলে তাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত দাঁড়ায় ১:৫০।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে আন্তর্জাতিক মান নেই যেসব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে আন্তর্জাতিক মান নেই যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, লিডিং ইউনিভার্সিটি, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, নর্দান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা, বরেন্দ্র ইউনিভার্সিটি, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি, ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি খুলনা, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, চিটাগাং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জার্মান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, খুলনা, দি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স এবং অনোয়ার খান মডার্ণ ইউনিভার্সিটি।