ঢাবির ‘গ’ ইউনিট পরীক্ষা: শেষ ৩ দিনে করণীয়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ মে ২০২২, ০৪:১৫ PM , আপডেট: ৩১ মে ২০২২, ০৪:১৫ PM
আগামী ৩ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ শুরু হবে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।
শেষ সময়ে এসে অল্প ভুলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সুযোগ পায় না। এছাড়া সামান্য কিছু ভুলে অনেক শিক্ষার্থী এ ভর্তি পরীক্ষাতেই অংশ নিতে পারে না। তাই পরীক্ষার ৩ দিন আগেই সেসব বিষয়গুলো গুছিয়ে নিয়েছেন তো? জেনে নিন, সেইসব বিষয়ে……
এডমিট কার্ড: ঠিক সময়ে এডমিট কার্ড উঠিয়ে নিতে হবে। একাধিক কপি সংগ্রহে রাখা উত্তম এবং সফটকপি একাধিক ফোনে ডাউনলোড করে রাখতে হবে। পরীক্ষার দিন ভর্তি পরীক্ষার এডমিট কার্ডের পাশাপাশি এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের মেইন কপিও অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে।
শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি: ভর্তিযুদ্ধ অনেকটা স্নায়ুযুদ্ধ। প্রস্তুতি ভালো, মেধাবী, চান্স পাবার যোগ্য কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার আগের অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এরপর বাকিটা ইতিহাস। তাই এখন থেকে শরীরের যত্ন নিতে হবে। মানসিক চাপ, পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন নাকি সহজ হবে, কোন সমস্যায় পরবো নাকি ইত্যাদি ইত্যাদি চাপ। এ চাপটা যেন পরীক্ষার হল অবধি না আসে।
নতুন কিছু না পড়া: বিজ্ঞান বলে দীর্ঘ সময় একটা জিনিস চর্চার ফলে সেটা মস্তিষ্কে স্থান করে নেয়। তাই বিষয়টি হঠাৎ পড়ে লাভ নেই। তবে ঢাবির জন্য সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান পড়তে হবে।
প্রচুর রিভিশন দেওয়া: আগে যেগুলো পড়া হয়েছে, সেগুলো খুব ভালো করে রিভিশন দেওয়া জরুরি। দিনে ১টা বই, ১টা অধ্যায় কিংবা ১টা টপিক হলেও রিভিশন দিতে হবে।
আবাসন নিশ্চিত করা: বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আবাসনের প্রচুর সংকট। তাই যারা পরীক্ষা দিতে আসবেন, তারা অবশ্যই আগে থেকে আবাসন নিশ্চিত করে আসবেন। কেননা নিজের নিরাপত্তাটাই আসল।
আত্মবিশ্বাসী হওয়া: বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কোন অংশেই যুদ্ধ থেকে কম নয়। যুদ্ধজয়ের অন্যতম মূলমন্ত্র সব সময় আত্মবিশ্বাসী থাকা। মোটেই হতাশ হওয়া যাবে না। নিজের আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে এগিয়ে চলতে হবে।
স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া: এ সময়ে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে অনেক চাপে থাকে। একজন ভর্তি পরীক্ষার্থীর দৈনিক ৬-৭ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। নিয়মিত পানি পান করতে হবে। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও দুর্বল শরীর নিয়ে কোন কাজ সঠিকভাবে করা সম্ভব নয়। তাই নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি হতে হবে যত্নশীল।