ঢাবির ‘গ’ ইউনিটে সফল হতে ১৭ কৌশল

ঢাবি
ঢাবি   © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ ভর্তি আবেদন শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রবেশপত্র সংগ্রহ করছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩ জুন ঢাবির ‘গ’ ইউনিট-এর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ সময়ে একজন ভর্তিযোদ্ধা হিসেবে যেসব বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে___

১। এমন কোন টপিকে হাতে নেওয়া যাবে না, যা এর আগে কখনোই পড়া হয়নি।

২। প্রতিটি বিষয়ের যে সমস্ত আলোচনা পড়া হয়েছে, তার মধ্যে কোন সমস্যা থাকলে তা যেকোনোভাবে সমাধান করে নিতে হবে৷ যা পড়া হয়েছে, তার মাঝে কোন কনফিউশন রাখা যাবে না।

৩। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটের প্রশ্নব্যাংক সমাধান করে ফেলা যেতে পারে। এর মধ্যে অন্তত ৮০ ভাগ প্রশ্নের উত্তরই জানার কথা। বাকি ২০ ভাগ প্রশ্ন দেখে নিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের ব্যাখ্যা দেওয়া আছে, অবশ্যই এমন কোন প্রশ্নব্যাংক অনুসরণ করতে হবে। ব্যাখ্যার মধ্যে উল্লেখ করা তথ্যগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্নব্যাংক দেখার ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন- বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে পুরাতন সিলেবাসের থেকে দেওয়া প্রশ্নগুলো স্কিপ করতে হবে। হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ এবং মার্কেটিং/ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিষয়ের প্রশ্নগুলো ভালো করে লিখে লিখে সমাধান করতে হবে।

৪। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটে গল্পের লেখক বা কবিতার কবি সম্পর্কে তেমন কোন প্রশ্ন থাকে না। তাই এ বিষয়গুলো স্কিপ করা বরং ভালো।

৫। ইংরেজি প্রথমপত্র বইয়ে প্রতিটি লেসনের শেষে কিছু টাস্ক থাকে। যেমন- Sentence Making, Parts of Speech Transformation, Fill in the Gaps, Paragraph Writing ইত্যাদি। এ ধরনের বিষয়গুলো একটা গাইড ফলো করে অবশ্যই চর্চা করতে হবে। 

৬। বাংলা প্রতিটি গল্প-কবিতার শব্দার্থ একবার দেখে নেওয়া উত্তম। 

৭। বাজারে মডেল টেস্টের জন্য যে সমস্ত ছোট ছোট বই পাওয়া যায়, তাও চর্চা করা যেতে পারে। 

৮। এছাড়া অসংখ্য ভালো মানের মডেল টেস্ট-এর বইও পাওয়া যায়। এগুলো সলভ করা ইফেক্টিভ। প্রস্তুতি ভালো থাকলে এই রকম বই সলভ করতে খুব বেশি সময় লাগবে না। এই রকম মডেল টেস্টের ৪/৫টি বই সলভ করা খুবই ফলপ্রসূ।

৯। বাংলা ও ইংরেজির জন্য বেশি বেশি এমসিকিউ প্রশ্ন দেখা ভালো। এতে করে মনে রাখতে সুবিধে হয়।

১০। লিখিত নিয়ে এতো বেশি চিন্তার প্রয়োজন নেই। একটা ভালো বই থেকে প্রশ্ন ধরণগুলো দেখা ভালো। হাতে পর্যাপ্ত সময় পাওয়া গেলে, সেইগুলো প্র্যাকটিস করতে হবে। বেসিক ভালো না থাকলে লিখিততে এভাবে ভালো করা সম্ভব নয়।

১১। বাংলার মুখস্থের বিষয়গুলো (সমার্থক শব্দ, বাগধারা, পারিভাষিক শব্দ, এককথায় প্রকাশ প্রভৃতি) এমন একটা বই থেকে দেখবে যেখানে প্রচুর এমসিকিউ দেয়া আছে।

১২। ঠিক সময়ে এডমিট কার্ড উঠিয়ে নিতে হবে। একাধিক কপি সংগ্রহে রাখা উত্তম এবং সফটকপি একাধিক ফোনে ডাউনলোড করে রাখতে হবে।

১৩। ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষার ১/২ দিন আগেই সিট কোথায় পড়েছে, তা ক্লিয়ার হয়ে যেতে হবে।

১৪। পরীক্ষার দিন ভর্তি পরীক্ষার এডমিট কার্ডের পাশাপাশি এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের মেইন কপিও অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে।

১৫। প্রশ্ন দাগানোর সময় ভালোভাবে প্রশ্নের ক্রমিক নাম্বার এবং ওএমআর-এর ক্রমিক নাম্বার মিলিয়ে নিতে হবে।

১৬। প্রশ্ন ভালো করে পড়তে হবে। ‘হয়’ লিখেছে নাকি ‘নয়’ লিখেছে, তা ভুল করা যাবে না। 

১৭। প্রশ্নের উত্তর করার সময়ে নার্ভাস হওয়া যাবে না। এতে করে প্রশ্নোত্তর ভুল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। আত্মবিশ্বাস অল্প প্রস্তুতিতে ভালো পরীক্ষা দিতে সহায়তা করে থাকে। 


সর্বশেষ সংবাদ