ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার আগের ১০ দিনে করণীয়

শেষ ১০ দিনে করণীয়
শেষ ১০ দিনে করণীয়   © সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুরা সবাই জানো যে আগামী ৩ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি যুদ্ধের সূত্রপাত হবে।

এছাড়া ৪ জুন কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিট, ১০ জুন বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিট, ১১ জুন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিট আর ১৭ জুন চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আজ কথা হবে পরীক্ষার আগের এ কয়েকদিন তুমি কিভাবে প্রস্তুতি নিবে।

শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি: ভর্তি যুদ্ধটা হচ্ছে স্নায়ুযুদ্ধ। তোমার প্রস্তুতি ভালো, তুমি মেধাবী, চান্স পাবার যোগ্য কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার আগের অসুস্থ হয়ে পড়ছো। তারপর বাকিটা ইতিহাস। আমার দেখা এমনও মেয়ে আছে তুখোড় মেধাবী কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে বাস জার্নি করে অসুস্থ হয়ে পরীক্ষা ভালো মতো দিতে না পেরে চান্স হয়নি। তাই এখন থেকে শরীরের যত্ন নাও। মানসিক একটা চাপ থাকবে কারণ চান্স না পেলে কত মানুষের কথা শুনতে হবে। পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন নাকি সহজ হবে, কোনো সমস্যায় পরবো নাকি ইত্যাদি ইত্যাদি চাপ। এ চাপটা যেন পরীক্ষার হল অবধি না আসে।

নতুন কিছু না পড়া: গত এক বছরে তুমি যেগুলো পড়ো নাই, আশা করি এ শেষ মুহুর্তে সেগুলো পড়বো না। কারণ এখন পড়লেও সেটা মনে রাখতে পারবে না। বিজ্ঞান বলে দীর্ঘ সময় একটা জিনিস চর্চার  ফলে সেটা মস্তিষ্কে স্থান করে নেয়। তাহলে বিষয়টি বুঝো হঠাৎ পড়ে লাভ নেই। তবে ঢাবির জন্য সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান পড়তে হবে।

প্রচুর রিভিশন দেওয়া: শেষ সময়ে আমার পরামর্শ থাকবে তোমরা আগে যেগুলো পড়ছো সেগুলো খুব ভালো করে রিভিশন দাও। এমনি দিনে ১টা বই, ১টা অধ্যায় কিংবা একটা টপিক হলেও রিভিশন দাও।

প্রশ্নব্যাংক ভালো করে শেষ করা: তোমার যদি প্রশ্নব্যাংক ভালোভাবে শেষ না করা থাকে, তাহলে তুমি কিছু জিনিস চোখের সামনে মিস হতে দেখবে। কারণ একমাত্র প্রশ্নব্যাংক তোমার শেষ সময়ের ভরসা, এটা তোমার কনফিডেন্স হাই করবে। অনেকেই বলতে পারো কিভাবে তুমি বিগত বছরগুলোর প্রশ্ন সলভ করতে বসবে, তখন যদি সব প্রশ্নের উত্তর করতে পারো তখন নিজের কাছেই মনে হবে এত সহজ প্রশ্ন আসে ভর্তি পরীক্ষায়। এটাই তোমার কনফিডেন্স বাড়াবে।

আবাসন নিশ্চিত করা: বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর হল বন্ধ।আবাসনের প্রচুর সংকট। তোমরা যারা পরীক্ষা দিতে আসবে, তারা অবশ্যই আগে থেকে আবাসন নিশ্চিত করে আসবে। কেননা নিজের নিরাপত্তাটাই আসল।

ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা: সবকিছুর পরে একটা কথা চলে আসে সেটা হলো লাক। আমার পরিচিত একজন যে ৫/৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে চান্স হয়নি। আহামরি মেধাবী ছাত্র নয়, আবার ভর্তি প্রস্তুতিও খুব ভালো ছিলো না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নে সাস্টে চান্স পেয়েছে। ছেলেটা পাঁচ ওয়াক্ত নামাযী ছিলো।

লেখক: মো. মিজানুর রহমান

শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়


সর্বশেষ সংবাদ