৮৪ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল হোয়াটসঅ্যাপ
জনপ্রিয় ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপে মাঝেমধ্যেই জালিয়াতির কথা শোনা যায়। তবে নিজেদের প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রায়ই কাটছাঁট চালায় প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া নতুন নতুন নিয়মও আনা হয়, যা অমান্য করলেই শান্তি। এদিকে এসব নিয়ম না মানায় সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ প্রায় ৮৪ লাখ (৮.৪ মিলিয়ন) অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে।
জানা গেছে, হোয়াটসঅ্যাপ তাদের নিজস্ব সুরক্ষা প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য প্রযুক্তির সাহায্যে প্ল্যাটফর্মে অপব্যবহার রোধে কাজ করছে। বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী থাকায় হ্যাকাররা মেটা মালিকানাধীন অ্যাপটিকে বারবার টার্গেট করে। এতে নতুন নিয়ম আনে অ্যাপটি। সম্প্রতি এই নিয়ম না মানার কারণে ভারতের প্রায় ৮৪ লাখ হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে মেটা। বন্ধ করে দেওয়া অ্যাকাউন্টগুলোর বেশির ভাগই স্প্যাম বা অটোমেটেড বার্তা পাঠানোর কারণে বাতিল করা হয়েছে।
তথ্য প্রযুক্তি নিয়ম ২০২১-এর ধারা ৪(১)(ডি) এবং ধারা ৩এ(৭) মেনে হোয়াটসঅ্যাপের নীতি লঙ্ঘন বা অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত অ্যাকাউন্টগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: ফিচারে বিরাট পরিবর্তন আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা মূলত হোয়াটসঅ্যাপের প্রো-অ্যাকটিভ ডিটেকশন মেকানিজমের মাধ্যমে হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ লাখ ৬১ হাজার অ্যাকাউন্ট কোনো ব্যবহারকারীর অভিযোগ করার আগেই বন্ধ করা হয়। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের আগস্টে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে ১০ হাজার ৭০৭টি অভিযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে ৯৩টির বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
হোয়াটসঅ্যাপের সুরক্ষায় করণীয়
* আপনার রেজিস্ট্রেশন কোড বা ভেরিফিকেশন পিন কখনই অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
* টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন অন করে রাখুন এবং একটি ই-মেইল ঠিকানাও প্রদান করুন। আপনি পিন ভুলে গেলে এটি পুনরুদ্ধারের জন্য উপযোগী হবে।
* আপনার ফোনে একটি ভয়েস মেইল পাসওয়ার্ড সেট করুন।