যেসব কারণে এগিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

শুরু হয়েছে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া। বিগত বছরের ন্যায় এবারও ২২টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করছে। আর এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। বিভিন্ন একাডেমিক সুযোগ-সুবিধার কারণে বর্তমানে দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠে পরিণত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

সেশনজটমুক্ত ক্যাম্পাস:
দেশের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় সঠিকভাবে একাডেমিক সময়সূচি অনুসরণ করে তাদের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস শুরুর চার বছরের মধ্যই তাদের স্নাতক সম্পন্ন করতে পারেন। এমনকি করোনাকালীন সময়েও বিশ্ববিদ্যালয়টি অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করায় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কম করোনাকালীন সেশনজটে রয়েছে।

রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস: 
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায়ই রাজনৈতিক সহিংসতা দেখা যায়, যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও। তবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এধরনের পরিস্থিতিতে পড়ার সম্ভাবনা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং বিগত ৩০ বছরে প্রতিষ্ঠানটি রাজনৈতিক কোনো সহিংসতায় একদিনের জন্যও বন্ধ থাকেনি।
 
একাডেমিক সুবিধা:
দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট, ল্যাব সংকট থাকলেও ব্যতিক্রম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশে প্রথম ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, ফরেষ্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি বিভাগ, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, এনভারেনমেন্টাল সাইন্স বিভাগ এবং ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন বিভাগ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগেই পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক এবং ল্যাব সুবিধা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে প্রতিটি বিভাগে শেষ বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের দেয়া হয় থিসিস করার সুযোগ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায়ই শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন কনফারেন্স আয়োজন করা হয়।

সফল অ্যালামনাই:
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা সফলতা অর্জন করলে তা পরবর্তী শিক্ষার্থীদের যাত্রাকে অনেকটাই সহজ করে দেয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্নকারীদের অধিকাংশই বর্তমানে দেশে এবং দেশের বাইরে ভালো অবস্থানে রয়েছেন। গুগলে প্রথম সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থী ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন গ্র্যাজুয়েট। গুগল, মাইক্রোসফট, ও ইনটেলের মত প্রতিষ্ঠানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০ জন গ্রাজুয়েট সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

সহশিক্ষা কার্যক্রম:
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সহশিক্ষা কার্যক্রমের জন্য প্রায় ২৫ টির মত সংগঠন রয়েছে। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে ওঙ্কার-শৃনুতা, ণৃ-নাট্য দল, ছায়াবৃত্ত, লোকগান সংগঠন সাধু সংঘ,   নৃত্যশিল্পীদের সংগঠন স্পার্ক ও রিদম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিতর্ক চর্চার জন্য রয়েছে ‘নৈয়ায়িক’, সাংবাদিকতায় আগ্রহীদের জন্য সাংবাদিক সমিতি এবং ফটোগ্রাফারদের জন্য ফটোগ্রাফিক সোসাইটি রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ