ইউজিসি কার্যালয় ঘেরাও প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ PM , আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ PM
স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়নসহ চার দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কার্যালয় ঘেরাও করেছেন রাজধানীর প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ইউজিসি কার্যালয়ের সামনে ঘেরাও করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। এসময় বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে শ্লোগান দিতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা প্রাইম এশিয়ার সকল শিক্ষার্থী এখানে দাঁড়িয়েছি আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো আদায়ের লক্ষ্যে। আমাদের আন্দোলন শুরু হয়েছে গত ২৭ আগস্ট থেকে। প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছিল যে, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে আমরা স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হবো। কিন্তু এখনো পর্যন্ত নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। একটি ইটও গাঁথা হয়নি।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমাদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে এই আন্দোলন চলবে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুক এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আর কোনো অনিশ্চয়তা তৈরি না হোক।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমি কে, তুমি কে’ ‘প্রাইম এশিয়া, প্রাইম এশিয়া’, ‘এক দফা এক দাবি’ ‘মানতে হবে মানতে হবে’, সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম এবং এর ফলে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারাসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। তারা রাজধানীর বনানী এলাকার কামাল আতাতুর্ক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এ বিষয়ে দিনভর চেষ্টা করেও ড. শুভময় দত্তের কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির নানা অনিয়ম রোধ এবং অযোগ্য কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বেসরকারি প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
দীর্ঘ সাড়ে চার বছরের এ সময়ে উচ্চশিক্ষালয়টির এফডিআর ভেঙ্গে ও আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে এ অর্থ লোপাট করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৫ কোটি টাকাই সরানো হয়েছে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে থাকা এফডিআর ভেঙ্গে। বেসরকারি এ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রিজার্ভ ফান্ড এবং নিয়মিত ফান্ড থেকে এসব অর্থ সরিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব প্রাপ্তরা।