চলছে ঈদের ছুটি, গরমে শিশুকে উৎফুল্ল রাখতে কী করবেন, কী করবেন না?

গরমে শিশুকে উৎফুল্ল রাখতে কী করবেন
গরমে শিশুকে উৎফুল্ল রাখতে কী করবেন  © প্রতীকী ছবি

তাপমাত্রার পারদ যেন উপরে উঠেই যাচ্ছে। বর্তমানে দেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে অবস্থান করছে। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ ছোট থেকে বড় সকলেই। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ঈদের ছুটি। তবে বাচ্চারা বাড়িতে থাকবে বলেই যে এই গরমে সে সুস্থ থাকবে, এমনটাও নয়। এই গরমে অত্যধিক ঘাম, বমি বা ডায়েরিয়ার মতো রোগ হলে শিশু শরীর থেকে বেশি পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়।

গরমের কারণে দেখা দেয় ডিহাইড্রেশন ও হিট-স্ট্রোকের মতো সমস্যা। গরমে শিশুদের খাবার হজম করতেও অসুবিধা হয়। তারা পেটের নানা রকম রোগে ভোগে। পেটের সংক্রমণ থেকে বমি ও ডায়েরিয়া মতো গরমজনিত রোগ দেখা দেয়। তাই বাড়িতেও শিশুদের যত্নে রাখা উচিত। এই গরমে কীভাবে শিশুর যত্ন নেবেন জেনে নিন---

১) বাড়িতে থাকলেই শিশুরা নানা ধরনের খাবারের বায়না করে। সাদামাঠা খাবারে তাদের মন ভরে না। পিৎজা, বার্গার, বিরিয়ানি এ ধরণের খাবারই বাচ্চারা বেশিপছন্দ করে। তবে এই গরমে খুব বেশি বাইরের খাবার শিশুদের না খেতে দেওয়াই ভাল। বাড়িতেই রান্না করে দিন তাকে। তবে খুব বেশি তেলমশলা না দিয়ে। তেলেভাজা নয় বরং কবাব, চটপটে খাবার বানিয়ে বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন।

২) গরমে শিশুরা পানি না খেলে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে। শত বললেও তারা পানি খেতে চায় না। এই গরমে ফ্রিজে বিভিন্ন রকম পানীয় বানিয়ে রাখতে পারেন। তরমুজের কুলার, গন্ধরাজ ঘোল, লেমন মহিতোর মতো পানীয় তাদের বেশ প্রিয়। তাই পানি না খেলে এই ভাবে তাদের শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করতে হবে।

আরও পড়ুন: ব্যবস্থাপনা পরিচালক নেবে ঢাকা বিআরটি, বেতন ১ লাখ ৭৫ হাজার।

৩) শিশুর শরীর সুস্থ রাখতে খেলাও জরুরি। তবে খুব বেশি রোদে যেন সে বাড়ির বাইরে না বের হয়, সে দিকে খেয়াল রাখুন। সন্ধ্যার দিকে তাকে পার্কে নিয়ে যেতে পারেন। তবে সেখানেও পানি কিংবা গ্লুকোজ সথে রাখবেন।

৪) এই সময়ে শিশুরা যেন সুতির পোশাক পরে, তা নিশ্চিত করতে হবে। বাড়িতেও শিশুদের হালকা রঙের পোশাক পরান। প্রয়োজনে এসির মধ্যেই রাখুন তাকে। শিশু অত্যধিক ঘামলে সেই ঘাম শরীরে বসে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন।

৫) এই সময়ে শিশু দিনে এক বার ভাল করে গোসল করলেও দুপুর আর বিকেলের দিকে গা স্পঞ্জ করিয়ে দিতে পারেন। শিশু রোদ থেকে এলে সঙ্গে সঙ্গে গোসলে পাঠাবেন না কিংবা ঠান্ডা পানি দেবেন না। দশ-পনেরো মিনিট জিরিয়ে নেয়ার পর পানি খেতে দিয়ে গোসল করতে বলুন।


সর্বশেষ সংবাদ