যোগ্যতা দিয়ে নুর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে, এমন সিস্টেমের পক্ষে আসিফ নজরুল

  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন বলেন, যোগ্যতা দিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে, এমন ব্যবস্থা থাকতে হবে। এখানে কে কার ছেলে সেটা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হবে; এটা কি রাজতন্ত্র নাকি?

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের উদ্যোগে ‘তারুণ্যের বাংলাদেশ ভাবনা-২০২১’ শীর্ষক উন্মুক্ত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় এ কথা বলেন তিনি। পুরানো পল্টনে প্রিতম জামান টাউয়ারে সংগঠনটির কার্যালয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়। 

আসিফ নজরুল বলেন, কেউ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন— হাজার যোগ্যতা থাকার পরও নেত্রীদের সন্তানের বাইরে কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে। কেনো পারে না, কেনো এই সিস্টেম? এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নয়। মালয়েশিয়া কানাডায় বাড়ি থাকবে, এটাও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উপলব্ধি করে এটাকে ধারণ করার চেষ্টা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমাদের শক্তিশালী হতে হবে।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির আমলে জঘন্যতম সব অন্যায় হয়েছে। জাতীয় পার্টির আমলে ভুয়া নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু জনগণ রুখে দাঁড়িয়ে এরশাদকে পদত্যাগে বাধ্যা করেছিল। ১৯৯৬ সালে বিএনপি জঘন্য নির্বাচন করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ৬ মাসের মধ্যে তাদেরকে বিদায় করা হয়েছে। আর গত ১২ বছর ধরে দেশে অদ্ভুত ও অস্বাভাবিক নির্বাচন হচ্ছে। আগের রাতে ভোট হয়ে যাচ্ছে। এতো বড় একটা অন্যায়ের সঙ্গে আমরা সহবাস করা শিখে গেছি। এতো বড় অন্যায়কে আমরা মেনে নিচ্ছি। আর এটা হচ্ছে দেশের সকল অন্যায়ের সূতিকাগার।

অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘যারা বাংলাদেশ ব্যাংক লুট করে, শেয়ার মার্কেট লুট করে, অর্থ পাচার করে, মানুষকে আরও বৈষম্যের দিকে ঠেলে দেয় তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সবচেয়ে বড় শত্রু। জাতীয়তাবাদ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল শক্তি। যারা বাংলাদেশকে অন্য দেশের কাছে বিকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সবচেয়ে বড় শত্রু।


অনুষ্ঠানে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, বর্তমানে দেশে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই। নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। দলীয়করণের মাধ্যমে বর্তমান সরকার দেশকে একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা না। মুক্তিযুদ্ধের উত্তরসূরী হিসেবে আমরা এটা হতে দিতে পারি না।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নইম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ